তিল, আঁচিল ও কালো দাগের চিকিৎসা

প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০১৭, ১৭:৫১

জাগরণীয়া ডেস্ক

মুখে নানা ধরণের স্পট পড়তে পারে। তন্মধ্যে বাদামী তিল, কালো তিল, সান স্পট, মেছতা, ব্রণের দাগ নিয়ে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে রোগীরা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। এসব মেডিকেল কন্ডিশনে বা মুখের স্পট চিকিৎসায় প্রয়োজন হয় ওষুধের। এক্ষেত্রে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞগণ ওষুধ হাইড্রোকুইনোন, রেটিনয়েড এবং মৃদু স্টেরয়েড ব্যবহার করে থাকেন। কখনও একক বা কম্বিনেশন থেরাপি দেয়া হয়। এছাড়া মাইক্রোডার্মাব্রেসন, লেজার রিসারফেসিং, ফ্রাকশনাল লেজার পিগমেন্ট লেজার ব্যবহার করা হয়।

এছাড়া অনেক ডার্মাটোলজিস্ট ডার্মাটো-কসমেটিক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ ধরণের কসমেটিকস কেবলমাত্র চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধের ফার্মেসীতে বিক্রয় হয়। তবে মনে রাখতে হবে মুখের দাগের কোন স্থায়ী চিকিৎসা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই নেই। যেমন মেছতার কোন স্থায়ী চিকিৎসা নেই। সাময়িক মুখের দাগ কমে মাত্র। মুখের মত একটা স্পর্শকাতর অংশের চিকিৎসা যার কাছে করাবেন তা অবশ্যই ভেবে নেবেন। ভুল চিকিৎসা ও ক্ষতিকর ব্লিচিং এজেন্টে মুখের ত্বকে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি ত্বক পুড়ে ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া মুখের আঁচিল, অবাঞ্চিত লোম, চোখের নীচে চর্বিজমা ইত্যাদির লেজার ও সার্জিক্যাল চিকিৎসা রয়েছে। সম্পূর্ণ ব্যথামুক্ত ভাবে আজকাল তিল ও বাদামী স্পট চিকিৎসা বা অপসারণ সম্ভব। তবে এসব নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে।

মনে রাখতে হবে মুখের দাগের কোন স্থায়ী চিকিৎসা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই নেই, সাময়িক মুখের দাগ কমে মাত্র। ভুল চিকিৎসা ও ক্ষতিকর ব্লিচিং এজেন্টে মুখের ত্বকে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত