শিশুর দৈহিক বৃদ্ধিতে চুন

প্রকাশ | ১৯ এপ্রিল ২০১৭, ২১:১৪

অনলাইন ডেস্ক

চুন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী উপকরণ! যথাযথ মাত্রায় ও উপায়ে চুন প্রয়োগে অনেক মারাত্মক রোগের চিকিৎসা করা যায়। কেননা চুন ক্যালসিয়ামযুক্ত অজৈব পদার্থ। যাতে রয়েছে কার্বোনেট, অক্সাইড ও হাইড্রোঅক্সাইড।

স্বাস্থ্যগত উপকারিতা ও প্রয়োগ পদ্ধতি জেনে চুনের ব্যবহার করা যেতে পারে।

রক্তশূণ্যতা দূর করে

শরীরের রক্তের ঘাটতি পূরণে চুন খুবই সহায়ক। ডালিম অথবা কমলার জুসের সঙ্গে গমের দানা পরিমাণ চুন মিশিয়ে পান করলে শরীরে দ্রুত রক্ত ‍বৃদ্ধি হবে।

বাচ্চার দৈহিক বৃদ্ধিতে সহায়ক

বাচ্চার উচ্চতা বাড়াতে চুনের ব্যবহার অনেক লাভজনক হবে। কেননা চুনে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়তা করে। গমের দানা সমপরিমাণ চুন দইয়ের অথবা ডালের সঙ্গে মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ানো যেতে পারে। বাচ্চা দ্রুত লম্বা হবে। এছাড়াও চুন বাচ্চার মস্তিষ্ক শক্তিশালী করবে।

অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য

চুন অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য খুবই উপকারী। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের শরীরে চুনের ঘাটতি হয়। এজন্য তাদের প্রতিদিন সামান্য পরিমাণ চুন খাওয়া উচিৎ। চুন শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কমাতে সহায়ক।

ব্যথানাশক

চুন বিভিন্ন প্রকার ব্যাথা উপশমে ভূমিকা রাখে। কাঁধ ও হাঁটুর ব্যাথা চুন সেবনে ভাল হয়। স্পন্ডিলাইসিসের মত মারাত্মক রোগ, যে কারণে মেরুদণ্ডের চাকতি সরে যায় তার ব্যাথাও চুন দ্বারা ঠিক হতে পারে! ভেঙ্গে যাওয়া হাড় দ্রুত জোড়া লাগাতেও সহায়ক। হাড় ভাঙ্গলে প্রত্যহ সকালে খালি পেটে সামান্য পরিমাণ চুন সেবন করা যেতে পারে।

জন্ডিস নিরাময়ে

চুন জণ্ডিসের জন্য সবথেকে ভাল পথ্য। আখের রসের সঙ্গে একটি গমের দানা পরিমাণ চুন মিশিয়ে পান করলে দ্রুত রোগ থেকে উপশম মিলবে।

মুখের ঘা নিরাময়ে 

মুখে ঘা হলে পানিতে সামান্য চুন মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা দ্রুত নিরাময় হয়।

শুক্রাণু বৃদ্ধিতে

শুক্রাণু গঠন কম হলে এক গ্লাস আখের রসের সঙ্গে এক চিমটি পরিমাণ চুন মিশিয়ে পান করলে শুক্রাণু বৃদ্ধি পাবে।