বেশি বয়সী মায়েদের সন্তান হতে পারে ডাউন সিন্ড্রোমের

প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০১৭, ১২:৪৮

জাগরণীয়া ডেস্ক

বেশি বয়সে সন্তান ধারণ করলে সন্তানের ডাউন সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। 

২২ মার্চ, (বুধবার) ১২তম বিশ্ব ডাউন সিন্ড্রোম দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

ইপনার প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহীন আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডা. মো. শারফুদ্দিন বলেন, ‘অনেক মানুষ জানেনই না, ডাউন সিন্ড্রোম কী বা এটি কী কারণে হয়। তাই এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কোনও বিকল্প নেই।’

অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘উপযুক্ত সময়ে বিয়ে নিশ্চিত করা, একই পরিবার বা বংশের মধ্যে বিয়ে কমিয়ে আনা এবং গর্ভধারণের সময় থেকেই ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে নবজাতক বা শিশুর ডাউন সিন্ড্রোম প্রতিরোধে ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্বে প্রতিবছর পাঁচ থেকে সাতশ জনে একজন শিশু ডাউন সিন্ড্রোম সমস্যা নিয়ে জন্মায়। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশে এ রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় দুই লাখ। এক গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি বয়সী মায়ের ক্ষেত্রে এ সন্তান জন্মের হার বেশি। ট্রাইজমি-২১ ও মোজাইক— এ দু’ধরনের ডাউন সিন্ড্রোমের ক্ষেত্রে বেশি বয়সী মায়ের গর্ভধারণের যোগসূত্র রয়েছে। ২৫ বছর বয়সী ১২০০ মায়ের মধ্যে একজন, ৩০ বছরে এ হার ৯০০ জনে একজন এবং ৪০ বছর বয়সী মায়েদের মধ্যে ১০০ জনে একজন মা এ ধরনের শিশু জন্ম দেন।

পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, "ডাউন সিন্ড্রোম একটি বংশানুগতিক সমস্যা। এর মধ্যে মৃদু থেকে গুরুতর মাত্রার বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতা, দুর্বল পেশীক্ষমতা, খর্বাকৃতি ও মঙ্গোলয়েড মুখাকৃতির বিশেষ বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। তাই ডাউন সিন্ড্রোম কোনও রোগ নয়, বরং শরীরের একটি জেনেটিক পার্থক্য এবং ক্রোমোজমের একটি বিশেষ অবস্থা। একইসঙ্গে ডিএনএ ও ক্রোমোজমের অসামঞ্জস্যতা দেখা দিলে শিশুর শারীরিক ও মানসিক ত্রুটি দেখা দেয়, যা জন্মগত বা জেনেটিক ত্রুটি"।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত