স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

প্রকাশ : ০২ জুন ২০১৬, ২১:০০

জাগরণীয়া ডেস্ক

অনেক নারীই নানা কারণে স্বাস্থ্যগত বিষয়ে মনোযোগী হতে পারেন না। কিন্তু সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে বেশ কিছু বিষয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এ লেখায় তুলে ধরা হলো নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষজ্ঞের কয়েকটি পরামর্শ।

১. পায়ের মারাত্মক ব্যথাকে উপেক্ষা নয় কর্মজীবী নারী কিংবা গৃহবধূ, সব নারীর ক্ষেত্রেই এ বিষয়টিতে সতর্ক থাকা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। পায়ের মারাত্মক ব্যথা হতে পারে পেরিফেরাল আর্টারি রোগের লক্ষণ।

২. রক্তচাপ মাপুন নিয়মিত রক্তচাপ থেকে বহু রোগের লক্ষণ নির্ণয় করা যায়। তাই নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ করা উচিত। এছাড়া শরীরে যদি অবসন্নতা দেখা দেয় তাহলেও সতর্ক হয়ে উঠতে হবে। এটি হতে পারে রক্তচাপের তারতম্যের লক্ষণ।

৩. তামাকজাত পণ্য বর্জন তামাকজাত পণ্য যে কোনো মানুষের জন্যই ক্ষতিকর। এজন্য শুধু সিগারেটই নয় জর্দা, গুল, সাদাপাতা ইত্যাদিও বর্জন করতে হবে।

৪. গর্ভধারণে সাবধান গর্ভধারণের সময় চিকিৎসকের পরামর্শমতো চলতে হবে। বাড়তি পরিশ্রম যেমন করা যাবে না তেমন একেবারে বসেও থাকা যাবে না।

৫. জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য প্রচলিত নানা সামগ্রী ব্যবহারে বহু অনাকাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যগত বিপর্যয় এড়ানো যাবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিতে হবে।

৬. মেনোপজে সতর্ক মেনোপজকালে নারীদের স্বাস্থ্যসচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করা যাবে না।

৭. দাঁতের যত্ন দাঁতের যত্নে প্রতিদিন দুইবার করে ব্রাশ করতে হবে। এছাড়া ভালো ও সফট ব্রাশ ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত ফ্লস করুন।

৮. পর্যাপ্ত পানি সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করুন। এটি দেহকে সতেজ রাখে, দেহের বর্জ্য নিষ্কাশনে সহায়তা করে এবং বহু রোগ থেকে নিরাপদ রাখে।

৯. সুস্থ কর্মক্ষেত্র কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য কখনোই একনাগাড়ে বসে থাকা যাবে না। প্রতি আধ ঘণ্টা পর পর কয়েক মিনিট হেঁটে নিতে হবে। এছাড়া বসার ব্যবস্থা যেন ভালো হয় তাও লক্ষ্য রাখতে হবে।

১০. স্বাস্থ্যকর খাবার সারাদিন সুস্থ থাকার জন্য সকালের নাশতা হওয়া চাই পর্যাপ্ত। এছাড়া খাওয়ার প্লেট যেন রঙিন শাকসবজি ও অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর থাকে সেজন্য সচেতন হতে হবে।

১১. বডিম্যাস ইনডেস্ক দেহের উচ্চতার সঙ্গে ওজনের সম্পর্ক মানানসই রয়েছে কি না, তা জেনে নিন বডিম্যাস ইনডেস্কের সহায়তায়। এটি যদি সঠিক না থাকে তাহলে ঠিক করুন।

১২. হাসুন হাসি সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে মানসিক চাপ কমে এবং দেহের বহু উপকারি হরমোন নির্গত হয় । তাই পর্যাপ্ত হাসুন এবং সুস্থ থাকুন।

১৩. শারীরিক পরিশ্রম করুন শারীরিক অনুশীলন ও হাঁটার মতো ব্যায়ামকে কখনোই হেলাফেলা করবেন না। শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে শরীর সচল রাখুন।

১৪. ভিটামিন ভিটামিন ডি ও অন্যান্য ভিটামিনের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খান। খাবারের সঙ্গে ভিটামিন ও মিনারেল যদি দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণে না প্রবেশ করে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত