কেন হাঁচি আটকাবেন না

প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০১৮, ১৮:১৭

জাগরণীয়া ডেস্ক

অনেকে না বুঝে বিভিন্ন পরিস্থিতির কারণে হাঁচি আটকে থাকেন। হাঁচির সময় নাক বা মুখ বন্ধ করলে শরীরের বিভিন্ন অংশে এত মাত্রায় চাপ বৃদ্ধি পায় যে দেহের অভ্যন্তরে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

কখন হাঁচি আসে? 
হাঁচি আসলে শরীরের একটি ডিফেন্স মেকানিজম। এই ডিফেন্স মেকানিজমকে মাঝ পথে বাধা দিতে মানা করেন চিকিৎসকেরা। যখন আমাদের শরীর, পরিবেশে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানের কারণে হওয়া সংক্রমণের হাত থেকে আমাদের বাঁচায়, তখনই সাধারণত হাঁচি আসে। সেই কারণেই এবার থেকে বারে বারে যখন নাক সুরসুরিয়ে হাঁচি আসবে, তখন জানবেন শরীর আপনাকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

হাঁচি আটকানো ক্ষতিকারক কেন?
হাঁচির সময় প্রায় ১০০-১৬০ কিলোমিটার/প্রতি ঘন্টা গতিতে বায়ু নাকের ছিদ্র দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। সেই সাথে বের হয়ে আসে শরীর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। তাই সে সময় যদি এই বায়ু প্রবাহকে জোর করে আটকানো হয়, তাহলে তা সম গতিতে শরীরের ভিতরে চলে যায় এবং একাধিক অঙ্গের ক্ষতি সাধন করে।

যেমন ধরুন কানে যদি এর প্রভাব পরে তাহলে কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে। তাছাড়া আটকে যাওয়া বায়ু প্রবাহ যখন চোখ এসে ধাক্কা মারে তখন একাধিক নার্ভ ড্যামেজ হতে পারে। একইভাবে এই গতি বেগে বায়ু প্রবাহ মস্তিষ্কের একাধিক নার্ভে গিয়ে আঁছড়ে পরলে অনের ক্ষেত্রেই স্টোক এবং সেই কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

সূত্র: ইন্টারনেট

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত