৩ বছর পরই আসছে ডিমেনশিয়ার টীকা!

প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০১৬, ১৯:৪৬

জাগরণীয়া ডেস্ক

পঞ্চাশোর্ধ্ব নারী-পুরুষের ডিমেনশিয়া ও আলজেইমার্সে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করে স্মৃতিভ্রংশতার এ রোগ। ডিমেনশিয়ার বিস্তৃতি রোধ করতে সম্প্রতি গবেষকরা একটি ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা বলেছেন, আর মাত্র তিন বছর পরই পূর্ণরূপে আবিষ্কৃত হবে বিশ্বের সর্বপ্রথম ডিমেনশিয়ারোধক টীকা। 

যুগান্তকারী সূত্রটি অভিব্যক্ত করেছেন দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডের ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ভ্যাকসিনটি অসুখটির কিছু উপসর্গ নির্মূল করবে এবং কিছু উপসর্গকে চলতিপথেই থামিয়ে দেবে। 

যদি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফল হয়, তবে আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত পঞ্চাশোর্ধ্ব নারী-পুরুষের ওপর ভ্যাকসিনটি ব্যবহার করা যাবে বলে আশা রাখছেন গবেষকরা।  

ভ্যাকসিনের লক্ষ্য হবে, মস্তিষ্কের অ্যামিলয়েড বিটা ও টাও প্রোটিন। এগুলো সাইন্যাপস ব্লক করে রাখে। যার ফলে পরবর্তীতে আলজেইমার্স হয়। ভ্যাকসিনটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যেন ইমিউন সিস্টেম এন্টিবডি তৈরি করতে পারে। ওই এন্টিবডি ভেঙে যাওয়া প্রোটিনের অংশবিশেষকে অপসারণ করে ফেলবে। 

এই টীকা পঞ্চাশোর্ধ্ব সবাইকেই দেওয়া যাবে। ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের এটি প্রয়োগ করলে তা ওখানেই থেমে যাবে। আর বিস্তৃত হবে না। এমনকি ডিমেনশিয়া শুরু হয়নি এমন ব্যক্তিরাও এই টীকা নিতে পারবেন। জানান ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন প্রফেসর নিকোলাই পেত্রোভস্কি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত লোকের সংখ্যা ৪৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন (৪ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার)। এ রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা প্রতিবছরে বাড়ছে ৭ দশমিক ৭ মিলিয়ন করে (৭০ লাখ ৭০ হাজার)।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত