কব্জির ব্যথায় করণীয়

প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০১৭, ২০:০২

ডা. এম. ইয়াছিন আলী

আজকাল অনেকেই কব্জির ব্যথা নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে থাকেন। বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনিতে বেশি ব্যথা অনুভূত হয়। কখনও বৃদ্ধাঙ্গুলের পাশ দিয়ে উপরের দিকে ব্যথা হয়।

রাতে হাত অবশ হয়ে আসে। অস্থিরতায় ঘুম ভেঙে যায়। কব্জির বা বৃদ্ধাঙ্গুলির ব্যথা অনেক কারণে হতে পারে, ডিকোয়ারভ্যান টেনো- সাইনোভাইটিস এর মধ্যে অন্যতম।

আমাদের কব্জি থেকে বৃদ্ধাঙ্গুলির দিকে যে টেনডন থাকে, তাতে যখন প্রদাহ হয় তখন এটিকে ডিকোয়ারভান টেনো-সাইনোভাইটিস বলে। সাধারণত মধ্য বয়স্ক মহিলারা এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়।

এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন – 
১. আঘাতজনিত কারণ,
২. হাত দিয়ে ভারী কিছু ওঠানো,
৩. রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস
৪. একটানা লেখালেখি করা,
৫. দা, কোদাল বা কুড়াল দিয়ে কাটাকাটি করা,
৬. ড্রিল মেশিন ব্যবহার করা ইত্যাদি।

লক্ষণ
১. এটিতে আক্রান্ত রোগী হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুলটি নাড়াতে পারে না,
২. কাপড়-চোপড় চিপতে ব্যথা পায়,
৩. হাত দিয়ে ভারী কিছু ওঠাতে পারে না,
৪. বুড়ো আঙ্গুলের গোড়ায় মাংসপেশি অনকে সময় শুকিয়ে যায়,
৫. আঙ্গুল বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং কাজ করলে ব্যথা বাড়ে,
৬. ব্যথা অনেক সময় কব্জি থেকে উপরের দিকে উঠতে থাকে,

রোগ নির্ণয়
সাধারণত একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ক্লিনিক্যালি এই রোগটি নির্ণয় করতে পারেন, তবুও কিছু কিছু ক্ষেত্রে কব্জির এক্সরে ও কিছু রক্তের পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে।

চিকিৎসা
এক্ষেত্রে ওষুধের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা বেশি জরুরি
কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইনজেকশন দেয়ারও প্রয়োজন পড়ে।

সতর্কতা
এ সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম গ্রহণ করতে হবে। হাতের কব্জির ওপর চাপ পড়ে এমন কাজ পরিহার করতে হবে, পাশাপাশি কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়, যেমন-

১. হাত দিয়ে ভারী কিছু ওঠাবেন না,
২. কাপড়-চোপড় চিপবেন না,
৩. টিউবওয়েল চাপবেন না,
৪. একটানা বেশিক্ষণ লেখালেখি না করা,
৫. দা, কোদাল বা কুড়াল দিয়ে কাটাকাটি না করা,
৬. ড্রিল মেশিন ব্যবহার না করা,
৭. কাজ করার সময় রিষ্ঠ-ব্যান্ড ব্যবহার করবেন।

সঠিক চিকিৎসা নিন ও সতর্কতা মেনে চলুন। সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন-যাপন করুন।

লেখক: বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস ও ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত