রাতে ঘুম হচ্ছে না? জেনে নিন কী ফলাফল

প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০১৭, ০১:৩৮

জাগরণীয়া ডেস্ক

রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে দেহে নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এসব প্রতিক্রিয়া থেকে বাঁচতে প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। এ লেখায় থাকছে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে সৃষ্ট কিছু প্রতিক্রিয়া। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার। 

১. ঠাণ্ডা সমস্যা
ঠিকমতো ঘুম না হলে সর্দি-কাশি ইত্যাদি সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন আপনি। এক গবেষণায় দেখা যায় যারা প্রতি রাতে পাঁচ ঘণ্টারও কম সময় ঘুমায় তাদের সাত ঘণ্টার বেশি ঘুমানো ব্যক্তিদের তুলনায় ঠাণ্ডা সমস্যা বেশি থাকে। এতে দেহের ওজন ও অন্য বিষয়গুলোও গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। 

২. পেটের গণ্ডগোল
কম ঘুমালে পেটের সমস্যা হতে পারে, এমন বিষয়ও জানিয়েছেন গবেষকরা। এতে জানা গেছে, ঘুমের অভাবে পেটে ‘ইনফ্লেমেটরি বোওয়েল’ রোগ হতে পারে। এছাড়া অ্যাসিডিটি সমস্যা বেড়ে যায় এবং পেটের আরও কিছু গণ্ডগো হতে পারে। 

৩. শেখায় সমস্যা
ছাত্র-ছাত্রীরা অনেকেই পড়ার জন্য রাতে ঘুমানো কমিয়ে দেয়। যদিও এতে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন গবেষকরা। এর কারণ হলো, রাতে না ঘুমালে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং নতুন তথ্য মস্তিষ্কে প্রক্রিয়াজাত হওয়ার কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে গবেষকরা বলছেন, কাজ কিংবা স্কুলের শুরুর সময়টি পরিবর্তন করে পর্যাপ্ত ঘুমের ব্যবস্থা করা উচিত। 

৪. খিটখিটে স্বভাব ও মুড ওঠানামা
গবেষকরা জানিয়েছেন, ঘুম ভালোভাবে না হলে খিটখিটে স্বভাব ও মুড ওঠানামা করতে পারে। এক্ষেত্রে অনেকের মাঝেই দেখা যায়, সামান্য বিঘ্ন ঘটলেই বিভ্রান্ত হয়ে যাওয়ার প্রবণতা। 

৫. মাথাব্যথা ও মাইগ্রেন
কম ঘুমের সঙ্গে মাথাব্যথা ও মাইগ্রেনের সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি গবেষকরা জানিয়েছেন মানসম্মত ঘুমের অভাবে মাইগ্রেন ও মাথাব্যথা দেখা যায়। 

৬. যৌনতায় বিঘ্ন
অপর্যাপ্ত ঘুমে অন্য বহু সমস্যার পাশাপাশি স্বাভাবিক যৌনতাতেও বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। আর এ কারণে সুস্থ যৌনতার জন্য ভালো ঘুমের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ভালো ঘুমে যৌনতার প্রবণতাও বৃদ্ধি পায় বলে জানান গবেষকরা। 

৭. চোখের সমস্যা
ঘুমের সমস্যায় সৃষ্টি হয় চোখের সমস্যা। গবেষকরা বলছেন, ভালো ঘুমের অভাবে টানেল ভিশন, ডাবল ভিশন ও ঝাপসা দেখার মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়। আপনি যত দীর্ঘ সময় জেগে থাকবেন, ঘুমের সমস্যাও তত বাড়বে। 

৮. ওজন বৃদ্ধি
ঘুমের সঙ্গে ওজনের অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। সঠিক মাত্রায় ঘুমাতে না পারলে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়। পর্যন্ত ঘুম না হলে মানুষের স্ন্যাকস ও ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবারের ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়। এতে শিশুরাও আক্রান্ত হয় এবং আদতে তাদের দেহের ওজন বৃদ্ধি পায়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত