সীতাকুন্ডে ছড়িয়ে পড়া অজানা রোগ ছোঁয়াছে নয়

প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০১৭, ১৭:২৫

জাগরণীয়া ডেস্ক

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেছেন, সীতাকুন্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ত্রিপুরাপাড়ায় শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া অজানা রোগ ছোঁয়াছে নয়। 

তিনি বলেন, ঢাকা থেকে আসা বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা জানিয়েছেন রোগটি ছোঁয়াছে নয়। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। প্রাথমিকভাবে উনারা ধারণা করছেন দীর্ঘ দিনের অপুষ্টিহীনতার কারণে শিশুরা এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। 

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রোগটি তারা এখনও শনাক্ত করতে পারেননি। তবে চারদিনে নয় শিশুর মৃত্যু এবং একই লক্ষণ নিয়ে আরও ৪৬ শিশুর অসুস্থ হয়ে পড়ার পেছনে তারা অসচেতনতা, কুসংস্কার আর মারাত্মক অপুষ্টির ভূমিকা দেখতে পাচ্ছেন।

সিভিল সার্জন আরও জানান, ‘রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডাক্তাররা ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল ইনফেকশাস অ্যান্ড ডিজিজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে গিয়েছেন। তারা সেখানে ভর্তি হওয়া আক্রান্ত শিশুদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক এমএ ফয়েজ ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি সংযুক্ত সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আক্রান্ত শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে জানান, এখানে যেসব রোগী চিকিৎসাধীন আছে চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক দেখার পর, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, পর্যবেক্ষণের পর দেখেছেন, বেশিরভাগ রোগী পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। তাদের রক্তশূন্যতা আছে। কিছু রোগীর লিভার বড় আছে। চামড়ায় দানা আছে। একটি-দুটি রোগীর ব্রেনের পর্দা সংক্রমণ বা মেনিনজাইটিস আছে। হামও আছে। সার্বিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে এটি কোনো একধরনের সংক্রমণ। পুষ্টিহীনতার কারণে উঁচু ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তাদের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। 

তিনি বলেন, চমেকে ১২ জন রোগী শিশু ওয়ার্ডে, মেডিসিন ওয়ার্ডে ২জন, ফৌজদারহাটে বিআইটিআইডিতে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত ৩০ জন শিশু ভর্তি আছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত