‘বৃক্ষমানবী’ সাহানার জিনের ত্রুটি আবিষ্কার

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০১৭, ১৯:১২

জাগরণীয়া ডেস্ক

দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত নেত্রকোনার ‘বৃক্ষমানবী’ সাহানা খাতুনের (১০) জেনম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে তার জিনের ত্রুটি আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানীরা। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জিনের এ ত্রুটি আবিষ্কারের মাধ্যমে এটাই বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের বিরাট একটি সাফল্য অর্জিত হয়েছে। যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি মাইল ফলকও বটে। 

১১ জুলাই (মঙ্গলবার) বৈজ্ঞানিক দলের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

এতে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ফুল জেনম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে মানুষের শরীরের জিনগত ত্রুটি নির্ণয় করা হয়েছে। আর এ কাজে নেতৃত্ব দেন ঢাকায় অবস্থিত প্রথম জেনম সিকোয়েন্স ল্যাব ‘নিউরোজেন’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান বৈজ্ঞানিক ড. মোহাম্মদ উদ্দিন ড্যাফিল। 

তার সঙ্গে ছিলেন রাজধানীর হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কে এম ফোরকান উদ্দিন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. রোবেদ আমিন। এই কাজে সহযোগিতা করে কানাডার বিখ্যাত হাসপাতাল হসপিটাল ফর সিক চিল্ড্রেন (সিক কিডস)। 

এদিকে চলতি বছরের অক্টোবরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠেয় সায়েন্টিফিক কনফারেন্সে এ গবেষণাপত্র উপস্থাপনার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছেন এই তিন বিজ্ঞানী। 

বিশ্বের প্রথম সারির জেনেটিসিস্টদের প্রধান প্লাটফর্ম ‘আমেরিকান সোসাইটি অব হিউম্যান জেনেটিক্সে’র উদ্যোগে ৬৭ তম এই সায়েন্টিফিক কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছে। 

গত ফেব্রুয়ারিতে বিরল ‘বৃক্ষমানব’ রোগে আক্রান্ত ১০ বছরের কন্যাশিশু সাহানা খাতুনের অস্ত্রোপচার হয় ঢামেক হাসাপাতালে।

সাহানাই বাংলাদেশের প্রথম নারী যে বিরল এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

বাংলাদেশে ‘বৃক্ষমানব’ হিসেবে পরিচিত খুলনার আবুল বাজানদারের পর একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে জানুয়ারির শেষের দিকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি হয় সাহানা। 

তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী সাহানা খাতুনের থুতনি, নাক, দুই কানের লতিতে শিকড় ছিল। এদিকে কয়েক দফা অস্ত্রোপচারের পর ভালো হয়েছেন আবুল বাজনদার। সুস্থ আছে সাহানাও। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত