আন্তর্জাতিক জীব বৈচিত্র্য দিবস

‘অপরিকল্পিত পর্যটন জীববৈচিত্র্যে বিরূপ প্রভাব ফেলছে’

প্রকাশ : ২১ মে ২০১৭, ২০:৫৫

জাগরণীয়া ডেস্ক

আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে আইইউসিএন বাংলাদেশ এর ম্যানগ্রোভ ফর ফিউচার প্রকল্পের উদ্যেগে ২১ মে (রবিবার) গুলশান ২ সিক্স সিজন হোটেলে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। 

কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য টেকসই উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উপর গুরুত্ব আরোপ করার মাধ্যমে ব্লু ইকোনমি ও পর্যটন শিল্প বিকাশ। এবছর আন্তর্জাতিক জীব বৈচিত্র্য দিবস এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো “জীব বৈচিত্র্য ও পর্যটন”।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ইশতিয়াক আহমেদ কর্মশালার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বাংলাদেশ বন বিভাগ এর প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মেদ শফিউল আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডঃ মোঃ নাসির উদ্দিন, আইইউসিএন বাংলাদেশ এর কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষন ও ব্লু ইকোনমি পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনাই বাংলাদেশের টেকসই ইন্নয়নে ট্যুরিজম শিল্প অনবদ্য ভুমিকা রাখতে পারে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, অপরিকল্পিতভাবে পর্যটন জীব বৈচিত্রের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে কক্সবাজারে। দেশের জীববৈচিত্র্য নম্বার এলাকাসমূহেও এই প্রভাব পড়ছে। সরকারিভাবে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে কিন্তু এরকম আরো অনেক উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও পর্যটন শিল্প বিকাশের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন এবং ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে জোর দিয়েছেন। পরিবেশ কর্মী, বিশেষজ্ঞ, প্রকৃতি প্রেমী মানুষদের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই আমাদের এই লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।

প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মেদ শফিউল আলম চৌধুরী বলেন, আমারা বিশ্বাস করি Red List of Bangladesh 2015 এর মাধ্যমে প্রাণীর বর্তমান অবস্থা নিরূপণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রাণীর সংরক্ষণ ও আবাসস্থল সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া, গবেষণা কাজে সহযোগিতা পাওয়া সম্ভব হবে। আইইইসএর এর কারিগরি সহযোহিতায় আমরা শকুন সংরক্ষণ ও এদেশে এশিয়ান হাতির সংখ্যা নিরূপণের কাজটি সার্থকভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। যা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও পর্যটন শিল্প বিকাশে ভুমিকা রাখবে।

আইইউসিএন বাংলাদেশ এর কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ২২ মে আন্তজার্তিক জীববৈচিত্র্য দিবস, এটি শুধুমাত্র পরিবেশ উদযাপনই নয়, বরং সবাইকে মনে করিয়ে দেয়া এই পৃথিবীকে মানুষই একমাত্র প্রাণী নয়, আমাদেরকে ঘিরে রয়েছে হাজার হাজার প্রাণী ও উদ্ভিদ। এদের সংরক্ষণ ছাড়া আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা অসম্ভব। আর এর জন্য চাই একটি সমস্বিত পরিকল্পনা ব্যবস্থাপনা। যা পর্যটন শিল্প বিকাশের পথ সুগম করবে। ব্লু ইকোনমি একটি পদক্ষেপ, যা ম্যানগ্রোভ ফর ফিউচার প্রকল্পের মাধ্যমে কোষ্টাল ও সমুদ্র এলাকার টেকসই উন্নয়নে ভুমিকা রাখবে।

ডঃ নিয়াজ আহমেদ খান এবং ডঃ এস রাশিদুল হাসান কর্মশালায় “ব্লু ইকোনমি” ও “জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও পর্যটন শিল্প” দুটো কার্যপত্র উপস্থাপন করেন।

কর্মশালায় সরকারি সংশিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, দাতা সংস্থা, পরিবেশ কর্মী, ট্যুর অপারেটর সহ আইইউসিএন এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত