যমুনার ভাঙ্গনে ভিটামাটি হারাচ্ছে মানুষ

প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:০৮

জাগরণীয়া ডেস্ক

বর্ষা মৌসুম শুরু না হতেই সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। বিগত ৭ দিন সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি সামান্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সদর উপজেলার বাহুকা ও কাজিপুর উপজেলার শুভগাছা পয়েন্টে প্রচণ্ড স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টির ফলে বড় বড় ফাটল ধরে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।

৭ দিনে ৩টি গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি ও ফসলী জমি যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে। বাহুকা পয়েন্টে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ফাটল ধরে যে কোন মুহূর্তে ধসে পড়ার আশংকা রয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ভাঙ্গন কবলিত এলাকার জনগণকে আতঙ্কিত না হবার আহবান জানিয়ে ভাঙ্গনরোধে পাওবোকে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

ভাটপিয়ারী, শিমলা, পাঁচঠাকুরী, দুম্বারপাড়া, বাঘমোড় অনেক আগেই চলে গেছে যমুনা নদীর গর্ভে। সদর উপজেলার বাহুকা, কাজিপুর উপজেলার শুভগাছা ও বাওই খোলা কোন রকমে টিকে থাকলেও এবারের ভাঙ্গনে পুরোটাই বিলিন হয়ে যাচ্ছে যমুনা নদীর বুকে। নদীর পানি আরো বাড়তে শুরু করলে এ গ্রামের সাথে বাকী গ্রামগুলো বিলীন হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশংকা করছেন স্থানীয়রা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণেই এ অঞ্চলের মানুষ আজ এমন শংকার মধ্যে পড়েছে। এখন পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা একটি বস্তাও ফেলেনি, ফলে ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েই চলছে। বাহুকা পয়েন্টে ব্রক্ষপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশে আশ্রিত মানুষ আতংকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে। অনেক দরিদ্র মানুষ রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে।

ভাঙ্গনের কথা স্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম বলেছেন, ভাঙ্গন রোধে জরুরি ভিত্তিতি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এমতাবস্থায় বাধ নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প তৈরী করে পিএসসিতে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে।

গত শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোঃ নাসিম ভাঙ্গন কবলিত এলাকার পাশেই সীমান্ত বাজার জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে নদী ভাঙ্গন রোধের জন্য সাময়িকভাবে জিও ব্যাগ ফেলার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। সেই সাথে স্থায়ীভাবে শুভগাছা, সিংড়াবাড়ী সংরক্ষণ প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে আর কখনই নদী ভাঙ্গন হবে না বলে জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত