‘বিজিএমইএকে একটা ঝাঁকুনি দেওয়া গেছে’

প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০১৭, ১৬:৩২

জাগরণীয়া ডেস্ক

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বিজিএমইএ ভবনের মালিক যদি আমি বা আমার মতো সাধারণ মানুষ হতো, তবে কি তা এত দিন টিকে থাকত? এই অবৈধ ভবন শক্তিশালী ব্যক্তিদের। আর সে জন্যই তা এত দিন টিকে আছে। তিনি বলেন, মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিজিএমইএকে একটা ঝাঁকুনি দেওয়া গেছে। আদালতের নির্দেশে তাদের এ ভবন ভাঙতেই হবে।

‘নদী-জলাধার রক্ষা কর, কৃষিজমি-বন-পাহাড় বাঁচাও’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বেলার প্রধান নির্বাহী এসব কথা বলেন। 

১০ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এর আয়োজন করে সাতটি বেসরকারি সংগঠনের জোট পানি অধিকার ফোরাম। এতে সহযোগিতা করে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি)। 

ঢাকার হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় অবস্থিত পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) কার্যালয় সরাতে আপিল বিভাগ আরও সাত মাস সময় দেন। গত ৮ অক্টোবর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালত সেদিন বলেন, এটিই শেষ সুযোগ। এর আগে ২০১১ সালে হাইকোর্ট ওই ভবনকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যান্সারের মতো’ উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেন। 

আজকের আলোচনায় নদী-জলাভূমিতে এসব দখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ উঠে আসে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক এম শাহজাহান মণ্ডল বলেন, আমাদের বড় ধরনের সুশাসনের অভাব আছে। আর এ জন্যই নদী-ভূমি দখল হচ্ছে। পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে।

বেসরকারি সংস্থা ‘নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশী কবিরের সভাপতিত্বে সভায় তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার (ওয়ারপোর) সাবেক মহাপরিচালক ম. ইনামুল হক, ভবদহ কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মোতালেব সরদার, বরিশালের রিচ টু আনরিচ সংগঠনের রফিকুল ইসলাম। বক্তব্য দেন এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাহির হোসেন প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত