জেনে নিন কোন গাছ রাতেও অক্সিজেন দেয়

প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০১৭, ১৯:৪৭

জাগরণীয়া ডেস্ক

আমরা সবাই জানি গাছ ক্ষতিকারক কার্বনডাই অক্সাইড শুষে নিয়ে অক্সিজেন দেয় আমাদের। আর মানুষ অক্সিজেন গ্রহণ করে বা অক্সিজেন গ্রহণ না করলে বাঁচে না। অপরদিকে মানুষের জন্য কার্বন ডাই অক্সাইড ক্ষতিকর। তবে বিজ্ঞানীদের অভিমত হলো, গাছ দিনে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করলেও রাতে গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে থাকে।

এবার জানা গেলো কিছু কিছু গাছ ভিন্ন ধর্মেরও রয়েছে। কিছু গাছ রাতেও অক্সিজেন ত্যাগ করতে থাকে। এসব গাছ ঘরে রাখলে আপনার আশেপাশের পরিবেশ যেমন সুন্দর হবে তেমনি সেটি হবে আপনার জন্য স্বাস্থ্যকরও। কোন কোন গাছ রাতে অক্সিজেন দেয় সেটি আজ জেনে নিন।

স্নেক প্ল্যান্ট
স্নেক প্ল্যান্ট গাছও অ্যালোভেরা মতোই। এটিও রাতে অক্সিজেন ছাড়ে। পাতার আকৃতির জন্যই এই ধরনের নাম গাছটির। এক ধরনের বাহারি গাছ এটি। ঘর সাজানোর কাজে আমরা হর-হামেশাই ব্যবহার করে থাকি এই গাছ। সৌন্দর্য বাড়াতে অনেকেই শোবার ঘরেও এই গাছটি রাখেন। খুব অল্প আলো ও সামান্য পানি পেলেই এরা বেঁচে থাকতে পারে। এই গাছ যদি ঘরে রাখেন, তাহলে ঘরে অক্সিজেনের কোনো ঘাটতি হবে না। নাসার বিজ্ঞানীরা একটি সমীক্ষা করে দেখেছেন যে, ঘরের ভিতর এই গাছ রাখলে নাইট্রোডেন ডাই অক্সাইড ও ফার্ম্যালডিহাইডের মতো ক্ষতিকারক গ্যাসকে শোষণ করে ঘরকে দূষণমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। এই গাছের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারী দিক হলো গাছটি প্রতিনিয়ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করতে থাকে। তাই ঘরে এই গাছ থাকলে দিন এবং রাতে পাবেন স্বাস্থ্যকর পরিবেশ। তাই এই গাছ ঘরে রাখুন।

পিপুল গাছ
পিপুল গাছ রাতে অক্সিজেন-তো ছাড়েই সেইসঙ্গে ডায়াবেটিক, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তাই ঘরে এই গাছ রাখতে পারেন।

অর্কিড
অর্কিড গাছ সবাই চেনেন। সুন্দর ও উপকারী এই উদ্ভিদ বিছানার পাশে রাখার জন্য আদর্শ একটি গাছ। রাতে অক্সিজেন নিঃসরণের পাশাপাশি রংয়ের মধ্যে থাকা ‘জাইলিন’ নামক দূষিত উপাদান দূর করে থাকে এই গাছ। যে কারণে ঘর সর্বদা সতেজ বাতাসে পরিপূর্ণ থাকে। তাই ঘরে অর্কিড গাছ রাখুন।

নিম গাছ
নিম গাছের গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা অনেক কিছুই জানি। কিন্তু জানিনা যে এই গাছের আরও একটি বিশেষ গুণ রয়েছে। সেটি হলো রাতে অক্সিজেন সরবরাহ। বাড়ির ভেতরে উঠানে যদি নিম গাছ থাকে তাহলে উপকার পাবেন। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন কারণ নিম গাছ কাজ করে প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবেও। এই গাছ ঘরে রাখতে পারেন। তাছাড়া নিম গাছের আরও অনেক ভালো ভালো গুণ রয়েছে। এই গাছের পাতা চুলকানিসহ নানা ধরনের কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা আমরা সবাই জানি। ঘৃতকুমারী বহুজীবী ভেষজ উদ্ভিদ ও দেখতে অনেকটা আনারস গাছের মতো হয়ে থাকে। এর পাতাগুলো পুরু, দুধারে করাতের মতো কাঁটা। এর ভেতরে জেলির মতো পিচ্ছিল শাঁস থাকে। এই জেলি মতো পিচ্ছিল শাঁসগুলো হতে শাঁস বের করে শরবত আকারে খেলে বড়ই উপকার পাওয়া যায়। আরও অনেক উপকার আছে এই অ্যালোভেরা গাছে। সবরকম জমিতেই ঘৃতকুমারীর চাষ করা সম্ভব। তবে দোঁআশ এবং অল্প বালি মিশ্রিত মাটিতে গাছের বৃদ্ধি ভালো হয়ে থাকে। উপকারী গাছের তালিকায় বরাবরই শীর্ঘস্থানটা রয়েছে অ্যলোভেরার। এই গাছ রাতের বেলা অক্সিজেন নিঃসরণ করে ও আয়ু বাড়ায়। এই গাছের পেছনে কোনো পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। আবার ত্বকেও বিভিন্ন উপকার করে অ্যালোভেরা। তাই এই গাছ ঘরে রাখতে পারেন।

তথ্য ও ছবি: ইন্টারনেট

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত