শিশুকে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে গড়ে তুলতে ১৭ বিষয়ে মনোযোগ দিন

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০১৬, ১৬:৩১

জাগরণীয়া ডেস্ক

১. জয়-পরাজয়ে গুরুত্ব নয়, অংশগ্রহণই বড় কথা শিশু যেখানেই অংশগ্রহণ করুক না কেন, তাকে বিজয়ী হওয়ার জন্য চাপ দেবেন না। হারজিৎ উভয়কেই সাদরে গ্রহণ করুন।
২. অনুশীলনে উৎসাহ যে কোনো বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য শিশুকে অনুশীলনে উৎসাহ দিন। অনুশীলন ছাড়া শিশু সাফল্যলাভ করতে পারবে না, এ বিষয়টি তাকে বোঝান।
৩. সমস্যা নির্ণয় করতে দিন আপনি যদি সব সমস্যা নির্ণয় করে দেন তাহলে তা কোনোভাবেই শিশুকে স্বাবলম্বী কিংবা আত্মবিশ্বাসী করবে না। তাই যে কোনো বিষয়ে তাকে সমস্যা নির্ণয় করতে দিন নিজে থেকেই।
৪. তার বয়সের কাজ করতে দিন শিশুর কাছ থেকে বড়দের মতো ব্যবহার আশা করবেন না। তার সেই বয়সের জন্য উপযুক্ত যে কাজ, তাই তাকে করতে দিন।
৫. কৌতুহলকে উৎসাহ দিন শিশুর নানা বিষয়ে কৌতুহল থাকবেই। আর আপনার কাজ হবে শিশুর এই কৌতুহলকে আরও জাগিয়ে দেওয়া। শিশুকে নানাভাবে উৎসাহ দিতে হবে যেন সে জ্ঞান আহরণে আগ্রহী হয়ে ওঠে।
৬. নতুন চ্যালেঞ্জ দিন শিশুকে সর্বদা নতুন বিষয়ে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে উৎসাহী করে তুলুন। এটি তাকে আত্মবিশ্বাসী হতে সহায়তা করবে।
৭. শর্ট-কাট বাদ দিন অনেকেই নিজের শিশুর জন্য নানা বিষয়ে শর্টকাট পদ্ধতি অবলম্বন করেন। কিন্তু এসব পদ্ধতি শিশুকে এগিয়ে নেওয়ার বদলে বরং পিছিয়ে দেয়। তাই শর্ট-কাট পদ্ধতি বাদ দিন।
৮. সমালোচনা নয় শিশুর কোনো বিষয়েই সমালোচনা করা উচিত নয়। সমালোচনায় শিশু নিরুৎসাহিত হয় এবং তার আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়।
৯. ভুল থেকে সাফল্যের অনুপ্রেরণা শিশু ভুল করবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাকে সর্বদা ভুলের জন্য দোষারোপ করা যাবে না। ভুলগুলো থেকে সে যেন শিক্ষা নিয়ে পরবর্তীতে সাফল্যের জন্য অনুপ্রেরণা পায়, সেজন্য মনোযোগী হতে হবে।
১০. অভিজ্ঞতা অর্জন করতে দিন শিশুর নানা ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। আর তাই দ্বার রুদ্ধ করে নয় বরং অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য তাকে সুযোগ দিতে হবে।
১১. নিজের জ্ঞান তাকে জানান শিশুর জন্য আপনি একজন বীর। আর তার সামনে নিজেকে উদাহরণীয় হিসেবেই উপস্থাপন করুন। নিজের জ্ঞানের ভাণ্ডার তার জন্য উন্মুক্ত করে দিন।
১২. দুশ্চিন্তার বিষয় প্রকাশ করবেন না শিশুকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন না, এমন বাবা-মা পাওয়া যাবে না। কিন্তু আপনার শিশুকে যদি ক্রমাগত এসব দুশ্চিন্তার বিষয় জানিয়ে দেন তাহলে সে নিজেও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়বে। তাই বিষয়গুলো তার কাছ থেকে গোপন রাখুন।
১৩. প্রশংসা করুন শিশুর জন্য প্রশংসা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তার যে কোনো সাফল্যের জন্য প্রশংসা করুন।
১৪. সহায়তা করুন, অতিরিক্ত নয় শিশুকে এমনভাবে সহায়তা করতে হবে যেন সে নিজেই পরবর্তীতে সে কাজটি করতে পারে। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত সহায়তা নয় বরং প্রয়োজন হলেই সহায়তা করতে হবে।
১৫. নতুন কিছু করতে উৎসাহ শিশুর সৃজনশীলতা বাড়াতে সব সময় উৎসাহ দিতে হবে। শিশু যদি নতুন কোনো বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠে তাহলে তাতে উৎসাহ দিতে হবে।
১৬. শিখতে উৎসাহ দিন শিশুকে ক্রমাগত নতুন বিষয় শিখতে উৎসাহ দিতে হবে। নতুন নতুন বিষয় শিখে সে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য আত্মবিশ্বাসী হিসেবে গড়ে উঠবে।
১৭. দিকদর্শনকারী হোন, নিয়ন্ত্রণকারী নয় শিশুর নানা কাজে সহায়তা করুন এবং তাকে বিভিন্ন বিষয়ে দিকদর্শনকারী হিসেবে কাজ করুন। কখনোই তাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবেন না।

সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত