সুফিয়া কামাল হলে ২৪ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার

প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০১৮, ২৩:৫৩

জাগরণীয়া ডেস্ক

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি সুফিয়া কামাল হলের ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ঘটনার জেরে হল ছাত্রলীগের ২৪ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা সবাই কবি সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক ছাত্রী।

১৬ এপ্রিল (সোমবার) রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের স্বাক্ষারিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাদেরকে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১০ এপ্রিল দিনগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় ২৪ ব্যক্তিকে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।

মোর্শেদা খানম নামের যে ছাত্রীকে নির্যাতন করার গুজব রটে বহিষ্কৃতদের মধ্যে তিনিও রয়েছেন। মোর্শেদা ছাত্রলীগের ওই হল শাখার সহ-সভাপতি ছিলেন।

বহিষ্কৃতরা হলেন- কেন্দ্রীয় সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক (সাবেক হল শাখা সভাপতি) খালেদা হোসেন মুন, সুফিয়া কামাল হল শাখার সহ-সভাপতি মুর্শেদা খানম, আতিকা হক স্বর্ণা, মিরা, সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতি আক্তার সুমি, সহ-সম্পাদক শ্রাবণী, আর্থ অ্যান্ড এনভাইরনমেন্ট সায়েন্স শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শারমিন আক্তার সুমী, চারুকলা শাখার উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আশা।

বহিষ্কৃত হয়েছেন লিজা (নাট্যকলা বিভাগ), মিথিলা নুসরাত চৈতি, (নাট্যকলা বিভাগ), সোনম সিথী, (সঙ্গীত বিভাগ), সুদীপ্তা মন্ডল (চারুকলা), প্রিয়াংকা দে (সঙ্গীত বিভাগ), শারমিন সুলতানা (নৃবিজ্ঞান বিভাগ), মিতু (উর্দু বিভাগ), শিলা (ভূতত্ত্ব বিভাগ), জাকিয়া (ভূতত্ত্ব বিভাগ), মনিরা (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ) রুমা (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ), জুঁই (শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগ), অনামিকা দাশ (চারুকলা), প্রভা (সঙ্গীত বিভাগ), তানজিলা (বাংলা বিভাগ) ও তাজ (সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ)।

প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল রাত বারোটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলের কয়েকজন সাধারণ ছাত্রীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে হল সভাপতি ইফফাত জাহান এশার বিরুদ্ধে। এ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজব রটে যে এশা ওই হলের একজন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীর পায়ের রগ কেটে দিয়েছেন। রাতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক হয়ে হল সভাপতি এশাকেও মারধর করে। তারা এশাকে লাঞ্ছিত করে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক হল থেকে শিক্ষার্থীরা গিয়ে হলের সামনে রাস্তায় জমায়েত হয়। তারা এশার বহিষ্কার দাবি করতে থাকে।

এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ হল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এশাকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়া হয়। পরে তদন্ত কমিটি গঠন করে ছাত্রলীগ এশার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে। আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করছেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত