‘তরুণ প্রজন্মকেই আধুনিক সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে’

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০১৮, ০২:২৯ | আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৮, ০৩:৫৭

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, তরুণ প্রজন্ম আমাদের দেশের সম্পদ, তাদেরকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পরিচর্যা ও উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাদের সম্ভাবনাকে ইতিবাচক পরিবর্তনের কাজে লাগাতে হবে।

তিনি বলেন, ‘ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ গঠনে, সমতার ভিত্তিতে সম্পদ বন্টন ও বৈষম্য নিরসনে সকলে একযোগে কাজ করে গেলে সমাজে অন্তর্ভূক্তিমূলক সমতা প্রতিষ্ঠিত হবে’।

তরুণ প্রজন্মকে আধুনিক সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে আসার আহবান জানান জানিয়ে স্পিকার বলেন, ‘একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে পরিবর্তনশীল পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে’।

১৯ জানুয়ারি (শুক্রবার) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দু’দিনব্যাপী ‘দক্ষিণ এশীয় সমাজবিজ্ঞান’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ। এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরণ্যে সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক কে এ এম সা’দউদ্দিন ও অধ্যাপক অনুপম সেন।

বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নেহাল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মনিরুল ইসলাম ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

শিরীন শারমিন বলেন, ‘বিশ্বায়নের এই যুগে সমাজ দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়া সেই পরিবর্তন থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন, ক্লাইমেট চেঞ্জ, মার্জিনালাইজেশন অব পোভার্টি এন্ড ডেভেলপমেন্ট এবং ফেমিনাইজেশন সমাজ পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে’।

তিনি বলেন, সমাজ অনুধাবনে সমাজ বিজ্ঞান চর্চার বিকল্প নেই। সমাজ বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে সমাজকে প্রতিষ্ঠিত করার চিত্র তুলে ধরতে হবে, যেখান থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানী ও রাষ্ট্র পরিচালনায় যুক্ত ব্যক্তিরা দিকনির্দেশনা পেতে পারেন।

এ সময় তিনি সমাজ বিশ্লেষণে সমাজ বিজ্ঞান চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরে এর চর্চা ও গবেষণায় আরও বেশি মনযোগ দেওয়ার জন্য ছাত্র-শিক্ষকদের প্রতি আহবান জানান।

সম্মেলনে ‘কলোনিয়ালিজম, কোল্ড ওয়ার এন্ড গ্লোবালাইজেশন: সিচুয়েটিং সোসিওলজি ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উপমহাদেশের প্রথিতযশা সমাজবিজ্ঞানী ও ‘ইন্টারন্যাশনাল সোসিওলজিক্যাল এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি পদ্মভূষণ অধ্যাপক টি. কে. উমেন।

উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী যাঁরা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণ করে বলেন, ২০২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গৌরবময় ১০০ বছর পূর্ণ করবে। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ৬০ বছর পূর্তি সেই গৌরবেরই একটি অংশ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক নাজমুল করিম ও অধ্যাপক রঙ্গলাল সেন’কে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ বলেন, ক্রিমিনোলজি, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এন্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজসহ আরো অনেক বিষয়ের উৎপত্তি হয়েছে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে।

দেশ-বিদেশের সমাজবিজ্ঞান গবেষকগণ দু’দিনব্যাপী এই সম্মেলনে ৮টি সেশনে ৩২টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।

সূত্র: বাসস