ব্যাংক পরিচালনায় একই পরিবারের চারজন থাকতে পারবেন

প্রকাশ : ০৮ মে ২০১৭, ১৭:১৪

জাগরণীয়া ডেস্ক

বেসরকারি ব্যাংকে একই পরিবারের দুই জনের পরিবর্তে চারজন সদস্যকে পরিচালক করার বিধান রেখে ‘ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) আইন ২০১৭’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। একই সঙ্গে খসড়া আইন অনুযায়ী পরিচালকদের মেয়াদ টানা ৬ বছরে থেকে বেড়ে ৯ বছর হচ্ছে।

সচিবালয়ে ৮ মে (সোমবার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অনুমোদনের কথা জানান।

মালিকদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইনে সংশোধন আনা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ব্যাংকারদের দীর্ঘ দিনের একটি দাবি (আইন সংশোধনের) ছিল, বিশেষ করে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর। আইনে গুরুত্বপূর্ণ দুটি সংশোধন আনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কোন ব্যাংক কোম্পানিতে একই পরিবারের দুইজন সদস্যের বেশি একই সময়ে পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পরেবেন না- এ বিধানটা ছিল। এখন পরিবর্তন আনা হল, একই পরিবারের দুইজনের জায়গায় চারজন পরিচালক থাকতে পারবেন।’

এতে বেসরকারি ব্যাংকে অনিময় বাড়বে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘অনেকেই তো পারিবারিকভাবে ইনভেস্ট (বিনিয়োগ) করে। এটার প্রতি তাদের মায়া থাকে। ভালমন্দ দুটোই হতে পারে। ভাল মানুষ হ্যান্ডেল করলে তো ভালই হবে।’

আগে পরিচালক পদের মেয়াদ ছিল ৩ বছর করে টানা দুই দফায় ৬ বছর জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘এটাতে এখন পরিবর্তন করে ৩ বছর করে ৩ দফায় টানা ৯ বছর করা হয়েছে। আগে টানা ৬ বছর থাকার পর ৩ বছর বাদ দিয়ে আবার পরিচালক হতে পারতেন। প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী টানা ৯ বছর থাকার পর ৩ বছর বাদ দিয়ে আবার পরিচালক পদে ফেরা যাবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগে ছিল বিশেষায়িত ব্যাংক ছাড়া অন্য যে কোন ব্যাংক কোম্পানিকে এর পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিযুক্তি বা পদায়নের আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।’

‘এখন হয়েছে (খসড়া আইনে) পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাচন ও মনোনয়নের পর ক্ষেত্রমতে নিযুক্তি বা পদায়নের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।’

নিয়োগ বা পদায়নের পর অনুমোদন নিয়ে লাভ কি? নিয়োগ তো হয়েই গেল- এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘না নিয়োগ হবে না। বাংলাদেশে ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। অনুমোদন ছাড়া নিয়োগ হবে না।’

কি কারণে সরকার এ আইনে সংশোধন আনছে- জানতে চাইলে শফিউল আলম বলেন, ‘ব্যাংক মালিকদের দাবি ছিল যারা মূলত প্রতিষ্ঠাকালে পরিচালক হিসেবে বিনিয়োগ করে পরে তাদের বলার কিছু থাকে না। অন্য লোকজন এখানে মাঝখানে এসে কিছু নিয়ে যায়। এটা প্রতিরোধ করার জন্য যারা প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালকদের যাতে ভূমিকা থাকে (এজন্য আইনে সংশোধন আনা হচ্ছে)।’

এ আইন সংশোধনে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতামত কী ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক এতে সম্মতি দিয়েছে। সবাই এতে সম্মতি দিয়েছে। ভাল হবে ভাবছে সবাই সেই অর্থেই সম্মতি দিয়েছে।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত