লভ্যাংশের ওপর লাখ টাকা পর্যন্ত কর সুবিধা চায় ডিএসই

প্রকাশ : ০৯ মে ২০১৬, ১২:৪৬

জাগরণীয়া ডেস্ক

পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখা ও বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে আসন্ন বাজেটে (২০১৬-১৭) এক লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশের ওপর করমুক্ত সুবিধার প্রস্তাব দিয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। 

রোববার (০৮ মে) ডিএসইর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাবসহ সরকারে কাছে মোট সাতটি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর প্রেসিডেন্ট অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান, ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী ও রুহুল আমিন, ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মতিন পাটোয়ারীসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএসই কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটকে সামনে রেখে ডিএসই এনবিআরকে বেশ কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছি। প্রস্তাবনাগুলো আমলে নেওয়া হলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

গত বছরের বাজেটে কালো টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব থাকলেও এবারের বাজেটে অপ্রর্দশিত আয় (কালো টাকা) বিনিয়োগের সুবিধা হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিএসই একটি প্রতিষ্ঠান। কালো টাকা বিনিয়োগে তাই এবারে ডিএসই থেকে কোনো প্রস্তাবনা রাখা হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জকে ৫ (পাঁচ) বছরের জন্য শতভাগ কর অবকাশ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাবনা করছে। এতে স্টক এক্সচেঞ্জ লাভজনক অবস্থানে আসবে। বাজারে লেনদেন বাড়বে, বাজারের প্রতি বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও আকৃষ্ট হবেন। এতে সরকার আরো বেশি রাজস্ব আয় পাবে।

তাই আগামী ৩ বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত শতভাগ কর অবকাশ দেওয়ার প্রস্তাব করা হচ্ছে।
বর্তমানে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জকে প্রথম বছর শতভাগ, ২য় বছর ৮০ শতাংশ, ৩য় বছর ৬০ শতাংশ, ৪র্থ বছর ৪০ শতাংশ এবং ৫ বছর ২০ শতাংশ হারে কর অবকাশ সুবিধা দিয়েছে সরকার। সে হিসেবে আগামী তিন বছর ৬০, ৪০ এবং ২০ শতাংশ কর অবকাশ সুবিধা পাবে স্টক এক্সচেঞ্জ।
 
দ্বিতীয় প্রস্তাবনায় বলা হয়, পুঁজিবাজারে অব্যাহত মন্দায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্রোকাররা। তাই স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেকহোল্ডার কর্তৃক সিকিউরিটিজ লেনদেনের ওপর (ধারা ৫৩ বিবিবি) উৎস কর শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশে থেকে কমিয়ে শূন্য দশমকি ০১৫ শতাংশ করা, নিবাসী এবং অনিবাসী বাংলাদেশিদের লভ্যাংশের ওপর উৎসে কর কর্তন ৮২ সি ধারার অধীনে অর্ন্তভুক্তি করা।
 
বিনিয়োগকারীদের জন্য করমুক্ত লভ্যাংশের পরিমাণ ২৫ হাজার টাকার পরিবর্তে তা বাড়িয়ে ১ লাখ টাকায় উন্নতি করা, স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচ্যুয়ালাইজড শেয়ার হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্পডিউটি (১ দশমিক ৫) থেকে অব্যহতি প্রদান করা।

মার্জিন ঋণ দেওয়া ব্রোকারেজ হাউজের ক্ষতি থাকা শেয়ারে উপর কর মুক্ত রাখা।
 
এছাড়াও অর্থবছরের শুরু ১ জুলাইয়ের বাধ্যবাধকতা পরিবর্তন করে বছরের যেকোনো তারিখের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া। অর্থাৎ সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোম্পানি বাদে সব কোম্পানিকে পহেলা জুলাই থেকে জুন অর্থবছর পরিপালনের নির্দেশনা দিয়েছে। এর ফলে প্রায় ৮০টি কোম্পানির অর্থবছরের সময় পরিবর্তন করতে হচ্ছে।

প্রস্তাবনাগুলো সকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দিয়েছে ডিএসই। এরপর অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

সূত্র: বাংলানিউজ২৪.কম

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত