ফের তিন হাজার ৩০০ কোটি ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০১৭, ২৩:১৫

জাগরণীয়া ডেস্ক

অর্থবছরের শুরুতে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি কিছুটা বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার মজুদ (রিজার্ভ) আবার তিন হাজার ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। গত সপ্তাহের শেষ দিন ১০ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) রিজার্ভের পরিমাণ তিন হাজার ৩০৭ কোটি ডলারে দাঁড়ায় বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। প্রতি মাসে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার আমদানি খরচ হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে ৯ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

গত ২২ জুন অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে রিজার্ভ তিন হাজার ৩০০ কোটি ডলার অতিক্রম করে। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ দুইবার তিন হাজার ৩০০ কোটি ডলারের নিচে নেমে আসে। বৃহস্পতিবার রিজার্ভ আবার তিন হাজার ৩০০ কোটি ডলার ছাড়ায়।

বিদায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ১৪.৪৮ শতাংশ কমলেও চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স ১১ শতাংশ বেড়েছে। তা ছাড়া গত অর্থবছরে রপ্তানি আয়ে কম প্রবৃদ্ধি হলেও (১.১৬ শতাংশ) জুলাই মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ।

নতুন অর্থবছরে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ার কারণে রিজার্ভ বাড়ছে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা। কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর অর্থনীতির অন্যতম প্রধান এই সূচক তিন হাজার ১০০ কোটি ডলার ছাড়ায়। গত বছরের ৪ নভেম্বর ছাড়ায় তিন হাজার ২০০ কোটির ঘর।

বিদেশি মুদ্রার মজুদ ১০০ কোটি ডলারের নিচে নেমে এলে ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো আকুর আমদানি বিল বকেয়া রাখতে বাধ্য হয়েছিল বাংলাদেশ। ১৭ বছরের মাথায় সেই রিজার্ভ তিন হাজার ৩০০ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত