শ্রুতি-নাটক: মশাল

প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০১৭, ০২:৫০

উৎসর্গ: আমার বাবা নাট্যকার ডাঃ অরুণ কুমার দে এবং মা শিল্পী রঞ্জিতা

চরিত্র:
কঙ্কনা– বাড়ির বউ
জুনি– লেখিকা 
রূপালী– ঐ বাড়ির কাজের লোক

প্রথম দৃশ্য 

কঙ্কনা– কি রে তোর রান্না কতদূর!! বেলা যে গড়িয়ে গেলো। ওদিকে মেঘ করেছে ছাদের কাপড়গুলো কে তুলবে?
রূপালী– এই ডালটা নামিয়েই ছাদে যাচ্ছি গো দি।
কঙ্কনা– (একটু বাঁকা সুরে) কি জানি বাবা সামনের ফ্ল্যাটে কাজ পেয়ে তুই জানি ক্যামন আনমনা দেখছি। বলি কি জাদু করলো তোকে?
রূপালী– (ম্লান হেসে) কি যে বলো দি। জাদু করে আমার জেবন বাদলাবে এমন সাধ্যি কার!
কঙ্কনা– (বিস্মিত স্বরে) ও বাবা বেশ তো কথা ফুটেছে। তা জীবন বদলানোর শখ হয়েছে নাকি?
রূপালী– (আচমকা তির্যক স্বরে) তা তোমার হয় না?
কঙ্কনা– (চমকে রাগত স্বরে) কি! কাকে কি বলছিস তুই!
রূপালী– (দৃঢ় গলায়) তোমাকে গো দি– আজ দশ বচ্ছর দেখছি তোমাকে একঘেয়ে সংসার করছো, ভাল লাগে?
কঙ্কনা– (হতভম্বের মতো) এই দাঁড়া দাঁড়া এ ক্যামন রূপালী? এ কোন ভাষা? পাঁচবাড়ী কাজের মধ্যে দেব, জিৎ– এর সিনেমার গল্প, এ বাড়ীর কাকী ও বাড়ীর পিসী চর্চা করা রূপালী? না - বহুরূপী?
রূপালী– (নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে) থাক না দি। আমি ছাদে যাই।
কঙ্কনা– (প্রগাঢ় স্নেহে) পালাস না। কাছে আয়।
রূপালী– না কাজ সেরে সামনের ফ্ল্যাটে .........।
কঙ্কনা– খুব তাড়া না ও ফ্লাটে যাওয়ার?
রূপালী– (আমতা আমতা করে) না মানে .........।
কঙ্কনা– বলি কে আছে ওখানে শুনি?
রূপালী– জুনি দিদি।
কঙ্কনা– আর।
রূপালী– আর কেউ নেই?
কঙ্কনা– স্বামী, ছেলে–মেয়ে (অবাক!)
রূপালী– নেই। চাগরী করে।
কঙ্কনা– সে কি রে একা একটা মেয়ে!!!
রূপালী– (ঝাঁঝিয়ে উঠে) কেন সব সময়ই বগলে ব্যাটাছেলে নে থাকতে হবে নাকি!
কঙ্কনা– (হতভম্ব) খুব ত মুখ চালাচ্ছিস! তুই স্বামী ছেড়ে থাকতে পারবি? একা মেয়ে শেয়াল শকুনে ছিঁড়ে খাবে না?
রূপালী– (তেজী গলায়ে) তা স্বামী ছিঁড়ে খায়না বুজি! নাকি দুটো ভাত দেয় বলে সাতখুন মাফ! বলে না যে গরুটা দুধ দেয় তার নাতি (লাথি)-টাও মিষ্টি (তেতো মুখে)।
কঙ্কনা– (বিস্মিত) এ– এসব কি বলছিস?
রূপালী– হক কতার এক কতা। (প্রচণ্ড তেজে চিৎকার করে) আরও শুনবে ঐ জুনিদিদি! বেশ করেছে! একা আছে, চাগরী করছে, বই লিখছে, বৃষ্টিতে ভিজছে, কেউ বাধা দেয়ার নাই!
কঙ্কনা– (মুখ ফিরিয়ে গম্ভীর স্বরে) অমন মেয়েকে লোকে ভালো বলে না রূপী।
রূপালী– লোকে ভালো বলবে– এই ভেবে– চোখের তলার কালি ঢেকে আর কত কাজল পড়বে গো দি? দা-বাবু তোমাকে বাড়ি, গাড়ি, দিয়েছে। কিন্তু সুখ শান্তি আরে ঐ কি বলে সরমান (সম্মান) দিয়েছে? মানিয়ে নিয়ে সতী সেজে কি পেলে তুমি?
কঙ্কনা– (যেন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়) আঃ বেরিয়ে যা রূপী। দূর হ।
রূপালী– (ব্যঙ্গ করে) না তুমি মরবে তবু চৌকাঠ পেরোবে নি। নোকে মাতায় সিঁদুর নেপে হরিবোল দে নে যাবে যকন– তকন মুক্তি পাবে কিন্তু জেবন থাকতে মুক্ত হতে পারবে না। (ভেঙিয়ে) ঝেঁটা মার নোকের মুকে!
কঙ্কনা– (স্তিমিত স্বরে) আস্তে কথা বল রূপী। আমার ছেলে মেয়ে আছে– তাছাড়া ভালো মন্দে মিলেই মানুষ। এক দিনে সব ভাঙ্গা সহজ কিন্তু মন্দটা মেনে নিলে গড়াটাও সহজ হয়ে যায়।
রূপালী– এঃ নেকচার, মহান দেবতা এলেন আমার। যত নুইবে ততো মাথায় পা তুলে দেবে সবাই।
কঙ্কনা– (যেন আত্মরক্ষার ভঙ্গি) সংসারে থাকতে গেলে মেয়েদের একটু মানিয়ে নিতে হয় বইকি। একজনের ভালোটা নেবে মন্দটা নেবে না, তা হয় নাকি?
রূপালী– (কোমর বেঁধে) তা তোমার মন্দটা দা-বাবু মাফ করে? সেবার রথের মেলা থেকে আনা ফুলদানীটা ভেঙ্গে ফেললে বলে তোমায়ে বাপ মা তুলে আমার সামনে গাল দেয়নি? ভাত পুড়ে গেলে– আমার পয়সায় খাও– রোজগের কল্লে বুঝতে– শালা ভদ্দর নোক! ক্যান রে রোজগেরে বউ কিনে আন– তাছারা রাত্তে মদ গিলে যে গায়ে গতরে কালশিটে ফেলে দ্যায়– সে বেলা। একটা মাতাল স্বামী পেয়ে কি পুণ্যি করেছো মাইরি।
কঙ্কনা (উন্মত্ত হয়ে ওঠে) চু-প! চুপ কর! সংসারে অমনটা হয়েই থাকে। মেয়েটা স্কুল থেকে ফিরল বলে! ওর কানে এসব গেলে- ছিঃ।
রূপালী– এই মেয়েকে কি শেকাচ্ছো শুনি? সাব্বজনিন ক্ষেমাভাণ্ডার হয়ে সব ওত্তেচার মেনে নাও– তা হলে পাড়ার মোড়ে তোমার মুত্তি বসবে আর মাতায় কাগে হাগবে। সুদু উপোস করে এক্কারি ষষ্টি গুষ্টির ব্রত করলেই সন্তানের মঙ্গল হয়? আমি বস্তির মেয়ে হয়েও মাদুলি বাবাদুলি ছুঁড়ে ফেলেছি নর্দমায়। আর তুমি মেয়েকে গুচ্চের আংটি ধারণ কইরেছ। ওতে কি জেবন বদলায়? তা মেয়ের জেবনটাও যতি এমন হয় সইতে পারবে?
কঙ্কনা– (চাবুকের শব্দে চিৎকার করে ওঠে) না! না! ও ওর ইচ্ছে মতো বাঁচবে, সসম্মানে বাঁচবে। স্বনির্ভর হয়ে বাঁচবে– ওকে ওকে এমন নষ্ট জীবন (কেঁদে ফেলে) বইতে দেবো না আমি।
রূপালী– ও দি! কেঁদো না! আমি আবার একটা মানুষ! আমার কতা বাদ দাও বাদ দাও– দা-বাবুকে তুমি খুব ভালোবাসো নাগো।
কঙ্কনা– কথা ঘোরাস না। সে কৈফিয়ত তোকে দিতে হবে? তুই মাইনে নিয়ে বিদেয় হ!
রূপালী– (আবার ঝাঁঝিয়ে ওঠে) হব! হব! ঐ হতচ্ছাড়া স্বামীকেও ছাড়বো আর ঝিগিরি? নেহাত তোমার জন্যি পরান্-টা কাঁদে– এতো বচ্চর মেয়ের মতো আগলে নেকেছিলে।
কঙ্কনা– কি বলছিস! পাগল হলি নাকি।
রূপালী– (আপন মনে) আগে ভাবতাম নাতি ঝাঁটা মার খেয়েও মদ্দটাকে ভালোবাসি বুঝি– পরে বুজলাম সবটাই অভ্যাস - স্বামী না তো যেনও টাইম-কলের জল!! নোকে মন্দ মেয়েছেলে বলবে সে বলুক। আসলে যে মেয়ে ছেলে গুলো নিন্দে করে তারা জুনি দিদির মতো বাঁচতে পারল না বলে মনে মনে হিংসা করে।
কঙ্কনা– (যেন চেতনা ফিরে পায়) রূপী! তোর জুনি দিদিকে বড় দেখতে ইচ্ছে করে রে! দূর থেকে একবার।
রূপালী– (লাফিয়ে ওঠে) যাবে? চল ছাদে যাই– জুনি দিদিকেও হাঁক পারি।
কঙ্কনা– সেই ভালো - চল ছাদে গিয়ে বৃষ্টিতে ভিজি এক সাথে। চুল খুলে পাগলের মতো নাচি সেই ছেলেবেলার মতো! যত জমা কান্না আমার, বৃষ্টিতে ধুয়ে যাক! তুই যা পারলি, জুনি যা পারলো কালবৈশাখীর মতো উড়িয়ে নিয়ে যাক আমায়। এ ঘর, অন্দর, লোকলাজ, কুসংস্কার - সব ছেড়ে একবার– একবার অন্তত ইচ্ছেমতো বাঁচি। একবার ডানা দুটো মেলে শেকল ভেঙে রওনা দি ইচ্ছেপূরণের দেশে। আয় রূপী, আয় জুনি, আয় তোরা আগল ভাঙা পাগল হওয়া, আমাকে মুক্ত কর! আঃ মুক্ত কর! আঃ মুক্ত কর! 

দ্বিতীয় দৃশ্য 

জুনির ফ্লাটে– কলিং বেল বাজে
জুনি দরজা খোলে

রূপালী- জুনিদি দেখো কাকে নিয়ে এসেছি (কঙ্কনা জড়সড় হয়ে এগিয়ে আসে)
জুনি- নমস্কার, আসুন বৌদি। কি কাণ্ড! রূপালী আগে বলবি তো!
রূপালী- আগে বললে বুঝি ঘর গুচ্ছে রাখতে। ও কম্ম তোমার নয়।
কঙ্কনা- আঃ রূপালী থাম তুই। জুনি হঠাৎ করেই তোমায় দেখতে ইচ্ছে করলো, ভাবলাম আলাপ করে আসি।
জুনি- তা বেশ করেছেন। বুঝতেই পারছি রূপালী বলতে কিছু বাকি রাখেনি।
কঙ্কনা- ভাগ্যিস বলল। না হলে, তোমার মতো মেয়ের কথা জানতেও পারতাম না।
জুনি- আমার মতো মেয়ে? সে তো আপনাদের সমাজে অচল, নষ্ট। আমার সঙ্গে মিশছেন জানলে পাড়ার লোকে মন্দ কথা বলবে।
কঙ্কনা- আজ সে ভয় পেরিয়ে এসেছি। তোমার মতো করে বাঁচবার লোভ নিয়ে এসেছি।
জুনি- (একটু অবাক হয়ে) কি বলছেন! বউদি! যা বলছেন তা হয়ত সাময়িক আবেগ। আপনি ফিরে যান। ঘরে ফিরে যান। এ পথ বড় দুর্গম।
কঙ্কনা- ঘর? ঘর তো আমাকে পর করে দিয়েছে। সেটা বুঝতে গিয়ে, বারবার মানিয়ে নেবার চেষ্টা করতে গিয়ে, আমার ভেতরের মানুষটা ক্রীতদাস হয়ে গেছে।
জুনি- আর দাসত্বটা অভ্যাস! তাইতো! তাইতো হয়! হঠাৎ করে স্বাধীনতা আসে না বৌদি শিক্ষিত হয়ে ও স্বাবলম্বী নয় যারা তাদের তো বলারই কিছু নেই।
কঙ্কনা- কেমন করে আসে বল না জুনি? ইচ্ছেমত বাঁচার তেষ্টায় ছাতি ফেটে যাচ্ছে– আমাকে ফিরিয়ে দিও না। তোমার মন্ত্রে দীক্ষিত করো।
জুনি- আমার মন্ত্র তো একটাই- শৃঙ্খল ভাঙার শব্দ - ইচ্ছে মতো বাঁচা- সবার আগে নিজেকে বারবার প্রশ্ন করুন আপনার সেই ইচ্ছের সৎ সাহস আছে কি না- নিজের মতামত সপাটে কষানোর আগে কিছু রোজগার করুন- দেখবেন সব ভয় কেটে মনের জোর দৃঢ় হচ্ছে।
রূপী- তবেই হইচে- আমি মুককু, পাঁচ বাড়ি খেটে তিনতে বাচ্চা মানুষ করিনি? আর তুমি পেটে বিদ্যা নিয়ে সংসারের জন্য ঘরে বসে দশটা ট্যাকার জন্য ও দা– বাবুর কাছে হাত পাতো?
জুনি- রূপী যা তো-- একটু চা করতো কড়া করে।
কঙ্কনা- তুমি আমায় থামাতে চাইছ?
জুনি- না!!! কিন্তু ঘর ভেঙে একা হলে– যা ইচ্ছে তাই করলেও আপনি কয়েকদিন হয়তো ভালো থাকার ঘোরে থাকবেন তারপর হয়তো পস্তাবেন।
কঙ্কনা- তাহলে তুমি কি করে পারো?
জুনি- আমি জন্ম বাউণ্ডুলে– গৃহবধুর খোলসের পা ঢোকাইনি কোনদিন। যাকে ভালোবেসেছি তার সঙ্গেই থেকেছি, কিন্তু যখনি দেখেছি সেজন আমার ঈশ্বর হতে চায়, তাকে ত্যাগ করেছি। তবে হ্যাঁ বারবার যে প্রেমে পড়তে চেয়েছি সে প্রেম নারীর নিজের মতো থাকার ইচ্ছেটাকে শ্রদ্ধা জানায়– তা আমি পাইনি তাই একা থাকা।
কঙ্কনা- তবে যে শুনে ছিলাম তুমি বিয়ে.........
জুনি- ভুল -- সবার মুখে শুধু এই এক চর্চা কেন? আমার লেখা– প্রতিবাদ– সমাজ বদলানোর মরিয়া চেষ্টা- এইগুলো নিয়ে চর্চা করা যায় না? আমার ব্যক্তিগত জীবন ঝালমুড়ি করে খেয়েছে সমাজ– কই কোনো বিবাহিত পুরুষকে তো শাঁখা সিদুর পড়ে সম্পর্কের ও সতীত্বের বিজ্ঞাপন দিতে হয় না ! অবাক লাগে যখন লোকে আমার পদবী নিয়ে সন্দেহ করে আমি বিবাহিত না অবিবাহিত- আমার লেখার দিকে মনযোগ কম দেয়। আজ তোমায় বলছি বৌদি- আমি মায়ের পদবীধারি। বাবা আর মেয়ের পদবী আলাদা হলেই সে মেয়ে বিবাহিত?
কঙ্কনা- তার মানে এত দিন বিজ্ঞাপনে মুখ ঢেকে নিজের অজান্তে নিজেকেই প্রতারণা করেছি– এও তো আত্মহত্যা!
জুনি- এই তো চৈতন্য!!! স্বাধীন হবার প্রথম পাঠ -- ফিরে যান ফিরে যান ঘরে ওই যুদ্ধ ক্ষেত্রে শুরু করুন স্বতন্ত্র থাকার লড়াই। স্বামী পরিবার যতো বাধা দেবে তত গর্জে ওঠুন। ওই মানুষগুলো অন্ধকারে পড়ে আছে প্রতিবাদের আগুনে পুড়ে তারা স্তব্ধ হোক। নিজের ভিতর নিজস্ব জগৎ গড়ে তুলুন। আপনার মেয়েকে দেখতে দিন স্বাধীনতার যুদ্ধ শুধু বই-এর পাতায় নয় প্রতিদিন ঘরের ভেতর চলছে। তাকে দিন স্বাধীনতার উত্তরাধিকার। একা থেকে স্বাধীন হওয়ার থেকেও এ আরো কঠিন পথ। আমাকে অনুকরণ করে নয় নিজের ইচ্ছেকে অনুসরণ করুন। তবে মনে রাখবেন স্বাধীনতা আর স্বেচ্ছাচারিতা এক নয়। আমি কিন্তু পুরুষবিদ্বেষী নই। অমানুষ বিদ্বেষী।
কঙ্কনা- (উদ্দিপ্ত হয়ে) এসব করলে ওরা এমনি আমাকে ঘর থেকে বার করে দেবে।
জুনি- তখন আমার দরজা খুলে যাবে।
কঙ্কনা- তবে তাই হোক! আমি ধুলো ঝেড়ে বার করি আমার সমস্ত অপূর্ণ সাধ! নিজের ভেতর থেকে নিজেকে বার করে আমি বহুদিন পর নিজের মুখ দেখে চমকে উঠে বলি– ‘এ কাকে দেখছি’!
জুনি- কে বলে আপনি সামান্য মেয়ে! আহা! এতদিন নিজের মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে অনেক পথ হেঁটেছেন। আমার পান্থশালায় আপনার রইলো আপনার আমন্ত্রণ।
কঙ্কনা- যাবার আগে তোমার লেখা একটা কবিতা সঙ্গে নিয়ে যেতে চাই যে আকাশপ্রদীপ হয়ে আমায় পথ দেখাবে।

জুনি ও কঙ্কনা- (একস্বরে)

আমি সামান্য নই
আমি দুর্বল নই
নই হে অমানুষ তোমার কেনা চাষের জমি! নও হে তুমি অগতির গতি
হলকর্ষণে দীর্ণ করো না, বিদ্ধ করার আগে নাও অনুমতি।

নিয়মের বেড়ি পড়ব না আর
নই আমি ক্রীতদাস
আমি সেই নারি স্বাধীনতা যার প্রানপন নিঃশ্বাস।

পুরুষের মতো চাই না তো হতে, আমি গর্বিত, আমি নারী
কে হে তুমি! কি আছে তোমার– যা ছাড়া চলতে নারি।
যদি পার হতে উদার আকাশ
তারা হতে পারি আমি।
যদি তা না পার
পদানত কর

নারী হতে পারে ভূমি! সে ভূমি কাঁপলে আছাড় পিছাড় 
ভেঙে খান খান তুমি!
আমি খোলা হাওয়া, আমি তলোয়ার
দেখ না কোথা থামি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত