তাসমিয়া শান্তার কবিতা ‘অস্বীকৃতী’

প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০১৭, ১৩:২৫

জাগরণীয়া ডেস্ক

অস্বীকৃতী

তাসমিয়া শান্তা

এই অন্ধকারে লুটিয়ে পড়া বিষণ্ন রাতগুলোয়

তুমি নেই। কিছু ঘন গভীর দীর্ঘশ্বাস আছে কেবল।

সেও আমার একার।

 

ঈশ্বর বলেছে, কেউ কারো দীর্ঘশ্বাসের

শব্দ শুনতে পায় না।

তবু আমি ভাবতাম, তুমি বোধয় শুনতে পাও।

এত কাছে থেকেছো, বুকের এত গভীরে

তবু আমার এত দীর্ঘ, স্পষ্ট দীর্ঘশ্বাস শুনতে পাওনি, তা আমার বিশ্বাস হতো না।

 

আচ্ছা, তুমি কি আমাকে চিনতে পেরেছো?

ওইযে, তোমার পাশে হাটতে হাটতে-

বড় অচেনা এক নদীর সামনে এসে

যখন তুমি থেমে গেলে,

যখন তোমার অবয়বে স্পষ্ট হলো,

ক্লান্তি আর হতাশার ছাপ!

বড্ড দরকারেও যখন সেই বড় দীর্ঘ নদী পার হবার আর কোনও উপায় ছিল না তোমার,

তখন যে অবাধ্য কিশোরী

সাঁকোর রুপ ধারন করলো, শরীর এলিয়ে-

সেই আমি!

তুমি তো কেবল দরকারে আমাকে মারিয়ে গেছো, চিনবে কি করে?

কতবার বললাম, দাঁড়াও একটু, একসাথে হাঁটি।

তুমি শুনলে নাতো!

 

কী, এখনো চিনতে পারোনি তো?

তবে থাক, আর চিনতে এসো না।

আমাকে চিনতে পারোনি,

এ তোমার সাতজন্মের ভাগ্য গো!

আমাকে চিনলে, তুমি আর বাঁচতে পারবে না।

মরে যাবে...

মরে যাবে আমার ঘন গভীর দীর্ঘশ্বাসে।

আরো মরে যাবে, আমাকে ভালবাসতে না পারার আক্ষেপে!

আমি নারী। আমি প্রেমিকা।

আমি উত্তাল নদীর বুকে অবহেলায় পড়ে থাকা সাঁকো!

আমাকে চিনতে এসো না

আমাকে একবার চিনলে আর উপেক্ষা করতে পারবে না।

মার্চ ২

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত