৩ দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শুরু

প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০১৭, ০১:২৭

জাগরণীয়া ডেস্ক

দোলপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ার লালন আখড়াবাড়ীতে তিন দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শুরু হয়েছে।

১১ মার্চ (শনিবার) সন্ধ্যায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন লালন স্মরণোৎসবের উদ্বোধন করেন। তবে তারে আগেই জমে উঠেছে আখড়াবাড়ী।

বাউলদের খাঁটি করে গড়ে তুলতে বাউল সম্রাট লালন শাহ তার জীবদ্দশায় ছেঁউড়িয়ার এই আখড়া বাড়িতে প্রতি বছর চৈত্রের দোলপূর্ণিমা রাতে সাধু সঙ্গ উৎসব করতেন। তার মৃত্যুর পর থেকে এ উৎসব চালিয়ে আসছে তার অনুসারীরা। 

প্রতি বছরের মতো এবারও সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় লালন একাডেমি তিন দিনের এই লালন স্মরণোৎসবের আয়োজন করেছে।

বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ সেই আধ্যাত্ব পুরুষ যিনি জাত-কুলের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে মানবতার গান গেয়েছেন। তার মতে, মানুষ ভজলেই সোনার মানুষ হবি। এ লক্ষ্যেই লালন ভক্ত, অনুসারীরা আবারও ভীড় করছেন লালন আখড়াবাড়ি কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায়। আর কি হবে এমন জনম লালনের আধ্যাত্মিক এ বাণীর শ্লোগানে দোলপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ার লালন আখড়াবাড়ীতে ১১ মার্চ (শনিবার) থেকে শুরু হওয়া তিন দিন ব্যাপী এই লালন স্মরণোৎসবে রয়েছে, আলোচনা সভা, লালন সঙ্গীতানুষ্ঠান ও বাউল মেলা।

অুষ্ঠানকে ঘিরে সকাল থেকেই আধ্যাত্বিক গুরু ফকির লালনকে স্মরণ ও দেশ-বিদেশের হাজার হাজার লালন অনুসারী, ভক্তরা এখন আখড়াবাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। আখড়াবাড়ী চত্বরে কালী নদীর তীরে বিশাল মাঠে জমে উঠেছে লালন মেলা। আর আখড়াবাড়ির ভেতরে খণ্ড খণ্ড সাধু আস্তানায় গুরু শিষ্যের মধ্যে চলছে লালনের জীবন কর্ম নিয়ে আলোচনা, ছড়িয়ে পড়ছে লালন দর্শন। এই লালন উৎসব শেষ হবে ১৩ মার্চ (সোমবার) রাতে।

এ উৎসবকে ঘিরে যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক স্তরের কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরি করা হয়। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত