বগুড়ায় ওসির আত্মহত্যা, সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

বগুড়ার গাবতলী মডেল থানার ওসি আ ন ম আবদুল্লাহ আল হাসানের আত্মহত্যার ঘটনায় সাবেক স্ত্রী রুমানা আকতার মিতুর (২৫) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। 

২৯ মার্চ (বুধবার) রাতে স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া রোজী গাবতলী থানায় মিতু ছাড়াও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে এ মামলা করেন। 

গাবাতলী থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, রাতে রোজী তার স্বামীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে গাবতলী থানায় দ্বিতীয় স্ত্রী মিতুসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। 

ডিবি ইন্সপেক্টর আমিরুল ইসলাম জানান, মামলার পর মিতুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এদিকে, ময়নাতদন্ত শেষে হাসানের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

জানা গেছে, আ ন ম আবদুল্লাহ আল হাসান নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কদমতলা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে। তিনি ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর পাবনা সদর থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করেন। তার স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া রোজী ছেলে-মেয়েকে নিয়ে রাজশাহীর উপ-শহরে বসবাস করেন। 

ওসি হাসান পাবনা থাকাকালে শহরের শালগাড়িয়ার মোকসেদ আলীর মেয়ে এক কন্যা সন্তানের জননী তালাকপ্রাপ্ত রুমানা আকতার মিতুর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে তাকে বিয়ে করেন। 

জানাজানি হলে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। গত বছরের ৪ নভেম্বর রোজী পাবনা থানা কোয়ার্টারে এসে অভিযোগ করলে ওসি হাসানকে জয়পুরহাটে বদলি করা হয়।

২৯ মার্চ (বুধবার) সকাল পৌনে ১০টার দিকে থানায় এসে কিছুক্ষণ থাকার পর হাসান ডিউটি অফিসার এএসআই হাসিনাকে একটি চিঠি ও চাবি দিয়ে তা ভাবী এলে দিতে বলে বের হয়ে যান। 

এরপর কোয়ার্টার থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।