ধর্ষণের শিকার নারীর প্রাথমিক করণীয়

প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:১৭

জাগরণীয়া ডেস্ক

প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে ধর্ষণের খবর। শুধু ধর্ষণেই শেষ নয়, নৃশংসভাবে হত্যাও করা হচ্ছে। সচেতনতা বাড়াতে চলছে বিভিন্ন সামজিক আন্দোলন ও সচেতনতামূলক সেমিনার, করা হচ্ছে মামলাও। কিন্তু কোনো  কিছুতেই ধর্ষণ কমছে না।

ধর্ষণের পরে বেশিরভাগ নারীই মানসিকভাবে চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন হন, অনেকেই  আবার আত্নহত্যাও করে থাকেন। এছাড়া পরিবারের সদস্যসহ আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলেন। কিন্তু একজন ধর্ষণের শিকার নারীর মানসিক বিপর্যয় ঠেকাতে পরিবার ও কাছের স্বজনদের যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। তাই এ সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি।

ধর্ষণের পরে একজন নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কার্যক্রম রয়েছে। তা আমরা অনেকেই জানি না। ধর্ষণের শিকার নারীর কী করা প্রয়োজন সে সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের ডিসি ফরিদা ইয়াসমিন ও ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আফরোজা খানম। আসুন জেনে নেই ধর্ষণের পর করণীয়।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা
ধর্ষণের পরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা সবচেয়ে বেশি জরুরি। অবশ্যই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়ে ফেলতে হবে। না হলে আলামত নষ্ট হয়ে যায়, যে কারণে আপনি সঠিক বিচার থেকে বঞ্চিত হবেন। এছাড়া

নির্ভরযোগ্য কাউকে জানান
ধর্ষণের ঘটনাটি নির্ভরযোগ্য কাউকে জানান। যিনি আপনাকে মানসিকভাবে সাহস দেবেন ও সহযোগিতা করবেন। এছাড়া সাক্ষী হিসেবে কাজে লাগানো যায় এমন কোনো বিশ্বস্ত মানুষকে জানান সে আত্মীয়, বন্ধু, পুলিশ, এমনকি হতে পারে আপনার চিকিৎসকও।  

আলামত
আলামত নষ্ট হয়, এমন কোনো কাজ করা যাবে না। যেমন নির্যাতিতাকে গোসল করানো হয়, যা কোনোভাবেই ঠিক নয়। এতে শারীরিক আলামতগুলো নষ্ট হয়ে যায়। নকি পরণের কাপড়ও পরিষ্কার করা যাবে না।

নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করুন
ধর্ষণের পরে যে কাজটি দ্রুত করতে হবে সেটি হলো নিকটস্থ থানায় জানাতে হবে। যিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনিই মামলার প্রধান সাক্ষী হতে পারেন।এচাড়া অবশ্যই নির্ভরযোগ্য কাউকে সঙ্গে নিয়ে যান।  

মানবাধিকার সংগঠন
ধর্ষণের শিকার নারীরা মানবাধিকার সংগঠনের সহযোগিতা পেয়ে থাকেন। মানবাধিকার সংগঠন ধর্ষণের শিকার নারীদের শেল্টার, আইনগত সহায়তা দিয়ে থাকে।

আইনজীবীর সহায়তা
ভিকটিম পুলিশের কাছ থেকে সব রকম সহায়তা পাওয়ার অধিকারী। জেলা জজের আওতায় প্রতিটি জেলায় আইন সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে আবেদন করলে ভিকটিম আর্থিক অথবা আইনজীবীর সহায়তা পেতে পারেন।

আপস মীমাংসা
কখনো কোনো ধর্ষণের ঘটনায় আপস-মীমাংসা করা যাবে না। কারণ ধর্ষকের পরিচয় সে একজন ধর্ষক। তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। আজকে আপনি তার সঙ্গে আপস করলে সে কালকেই আরেকজনকে ধর্ষণ করবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত