জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে ধর্ষণ

এখনো গ্রেপ্তার হয়নি পাঁচ আসামির কেউ

প্রকাশ : ০৮ মে ২০১৭, ০২:১০

জাগরণীয়া ডেস্ক
ছবিতে ধর্ষণ মামলার আসামী সাফাত, নাঈম ও সাদমান (বাঁ থেকে)

জন্মদিনের পার্টির কথা বলে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর বনানী থানায় হওয়া মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে কাউকেই এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। 

মামলার এজাহার থেকে পাঁচ আসামির মধ্যে চারজনের নাম জানা গেছে। এজাহার থেকে জানা যায়, আসামিরা হলেন সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, শাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও অজ্ঞাতনামা দেহরক্ষী। মামলার প্রধান আসামি শাফাত।

জানা গেছে এদের মধ্যে সাফাতের পিতা দিলদার আহমেদ সেলিম আপন জুয়েলার্স এর মালিক। নাঈম আশরাফ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট করতো। সাকিফ গুলশান লিঙ্ক রোডে পিকাসো রেস্টুরেন্ট ভবনের মালিক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে। সাফাতের ড্রাইভার বিল্লাল এবং অজ্ঞাতনামা দেহরক্ষী ধর্ষণের সময় ভিডিও ধারণ করে।

এর আগে ৬ মে (শনিবার) সন্ধ্যা সাতটার দিকে বনানী থানা-পুলিশ ধর্ষণের মামলা নেয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা দায়ের করতে দুই ছাত্রীকে টানা ৪৮ ঘণ্টা যুদ্ধ করতে হয়।

মামলার বাদী শনিবার জানান, তিনি পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থের দোহাই দিয়ে তখন বনানী থানা-পুলিশ আসামিদের নাম-ঠিকানা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে।

৭ মে (রবিবার) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (ডিসি-মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, এজাহারভুক্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। আসামিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।

এদিকে শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ জানিয়েছেন, পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দুই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে ১৫-২০ দিন সময় লাগবে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে সাফাত আহমেদ নামে এক বন্ধুর জন্মদিনে যোগ দিতে এসে বন্ধুদের যোগসাজশে ধর্ষণের শিকার হন ওই দুই ছাত্রী। মামলা করলে কিংবা আইনের আশ্রয় নিলে ও পুলিশ-র‌্যাবকে জানালে তাদের হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। যে কারণে মামলা করতে সাহস পাননি বলে জানিয়েছেন তারা। বেশ কিছুদিন ধরে প্রধান আসামির দেহরক্ষী তাদেরকে অনুসরণ করছিলেন। তাদের বাসায় গিয়েও নানান কিছু জিজ্ঞাসা করছিলেন। আসামি ভিডিও আপলোড করারও হুমকি দিচ্ছিলেন। সে কারণে ৬ মে (শনিবার) সন্ধ্যায় মামলা দায়ের করেন ওই দুই ছাত্রী।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত