এক মুঠো ভাতের জন্য যুদ্ধ!

প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০১৭, ১৭:৫০

জাগরণীয়া ডেস্ক

ঠিক মতো চলতে পারেন না সোহাগী রানী। এক মুঠো ভাতের জন্য তবু ছুটতে হয় গ্রাম থেকে শহরে। বয়সের ভারে কাবু সোহাগীর মৃত্যু যখন কড়া নাড়ছে দরজায়, তখন নিত্য যুদ্ধ পেটের খোরাক যোগাড় করতে।

তবে কোন কোন দিন না খেয়েও দিন পার করেন তিনি। সোহাগী রানীর বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটী ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের অমুল্য কুমারের স্ত্রী। মুক্তিযুদ্ধের আগেই সোহাগী রানী বিধবা হন বলে জানালেন। দুই ছেলে ক্ষিতিশ ও সুশান্ত জুতা সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করেন। অভাবের সংসারে যেন সোহাগী রানী বোঝার মতো। ছেলেদের সংসার ঠিকমতো না চলার কারণে তিনি এই বৃদ্ধ বয়সে দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে বেড়ান।

সোহাগী রানীর বয়সের কারণে ঠিকমতো কথাও বলতে পারেন না। লম্বা দীর্ঘদেহী এই নারী এখন হামাগুড়ি দিয়ে হাটেন। বয়স এখন একশ ছুঁই ছুঁই। বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কোনটাই তিনি পান না। বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য কত নেতা আর জনপ্রতিনিধিদের দারস্থ হয়েছেন। কেও কথা রাখেনি।

আক্ষেপ করে সোহাগী জানালেন, ভিক্ষুক পুনর্বাসনের তালিকায়ও তার নাম ওঠেনি। কত মানুষকে অনুনয় বিণয় করলাম একটা কার্ডের জন্য। কেও আমার কথা শোনেনি। বুধবার ঝিনাইদহ শহরের আলম বিপনীর সামনে সোহাগী রানী মাথা গুজে বসে ছিলেন সাহায্যের জন্য। সেখানেই কথা হয় তার সাথে।

মেসার্স আলম বিপনীর মালিক শওকত মিয়া জানান, সোহাগী রানী খুব অসহায় একজন মহিলা। এই বয়সে যদি তিনি সরকারি সাহায্য না পান, তবে অন্যায় করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত