বাঁচানো গেল না কবরস্থানে ‘জেগে’ ওঠা শিশুটিকে

প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০১৮, ১৬:৩৩

জাগরণীয়া ডেস্ক

বাঁচানো গেল না ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ‘মৃত’ ঘোষণার পর কবরস্থানে ‘জেগে’ ওঠা শিশুটিকে।

২৩ এপ্রিল (সোমবার) দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের শিশু হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র-আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।

হাসপাতালের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম জানান, শিশু হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিউতে (হৃদরোগের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে) লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে শিশুটি।

শিশুটির খালু শফিকুল ইসলাম জানান, রাতেই শিশুটির মারা যাওয়ার বিষয়টি পরিবারকে জানিয়েছেন ডাক্তাররা। মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হলে তারা মরদেহ নিয়ে ধামরাই গ্রামের বাড়িতে যাবেন, সেখানেই শিশুটিকে দাফন করা হবে।

এর আগে সোমবার ডাক্তাররা জানান, বাচ্চাটি সাত মাসে প্রিম্যাচিউর অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়েছে। প্রিম্যাচিউর বাচ্চাদের অনেক সময় শ্বাস-প্রশ্বাস বোঝা যায় না। বাচ্চাটিকে প্রথমে (সোমবার) যখন আমাদের এখানে আনা হয়, তখন তার শ্বাস-প্রশ্বাসের পরিমাণ ছিলো ১০-১২।

উল্লেখ্য, সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে মীমের জন্ম দেন শারমিন আক্তার। এর পরই শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে ডেথ সার্টিফিকেট দেয় ঢামেক কর্তৃপক্ষ। স্বজনরা নবজাতকটিকে দাফন করতে আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যান। সেখানে গোসল করানোর সময় শিশুটি হঠাৎ নড়ে ওঠে কান্না করে। পরে তাকে কবরস্থান থেকে প্রথমে আজিমপুর মেটারনিটিতে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সোমবার হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. মো. আবদুল আজিজ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, শিশুটিকে বর্তমানে কার্ডিয়াক আইসিইউতে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা যে খুব একটা ভালো তা বলা যাবে না। তবে তাকে যে অবস্থায় এখানে আনা হয়েছিল তার চেয়ে ভালো আছে।

নবজাতকটির মায়ের নাম শারমিন আক্তার (২৪)। তিনি ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার স্বামী মিনহাজ উদ্দিন পোশাক কারখানায় কাজ করেন। এ দম্পতি ঢাকার ধামরাইয়ের বাসিন্দা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত