বিএস২১১ ফ্লাইট বিধ্বস্ত

বেঁচে আছেন রাগীব রাবেয়া মেডিকেলের দুই শিক্ষার্থী

প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০১৮, ১৭:৫২

জাগরণীয়া ডেস্ক

বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলার বিএস২১১ ফ্লাইটটির যাত্রী হিসেবে থাকা সিলেটের জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ১৩ নেপালি শিক্ষার্থীর মধ্যে ২ জন বেঁচে আছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

বেঁচে যাওয়া শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ১৯তম ব্যাচের প্রিন্সি ধামি ও সামিরা বায়জানকার। তবে তাদের দুজনেই মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। তার মধ্যে একজন কোমরে আঘাত পেয়েছেন, অন্যজন কোমায় রয়েছেন।  

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফের দেয়া তথ্যে জীবিত ১৯ জন যাত্রীর মধ্যে নামে দুইজন শিক্ষার্থী নাম দেখা যায়।

জালালাবাদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আবেদ হোসাইন বলেন, শুরুতেই সকলেই নিহত হয়েছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়লেও দুর্ঘটনা কবলিত শিক্ষার্থীদের সহপাঠী ও নেপালে থাকা তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি ১৩ জনের মধ্যে দু’জন শিক্ষার্থী বেঁচে আছেন এবং তারা নেপালের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ (সোমবার) ঢাকা থেকে নেপালের কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া বিধ্বস্ত ইউএস বাংলার বিএস ২১১ ফ্লাইটটিতে ছিলেন সিলেটের রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ১৩ শিক্ষার্থী। এরা সবাই নেপালি বংশোদ্ভুত। ১৩ শিক্ষার্থীর এর মধ্যে ১১ ছাত্রী, ২ ছাত্র। গত ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় এমবিবিএস ১৯তম ব্যাচের ফাইনাল পরীক্ষা। গত ১১ মার্চ (রবিবার) পরীক্ষা শেষ হয়। পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরছিলেন আর তখনই ঘটলো এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

এদিকে, মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকে স্তব্দ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজে ৩ দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। প্লেন দুর্ঘটনায় রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজে ৩ দিনের শোক পালনের অংশ হিসেবে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সাথে কলেজ পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।​

ফ্লাইটটির যাত্রী ঐ ১৩ শিক্ষার্থী হলেন- 
১. সঞ্জয় পাউডাল
২. সঞ্জয়া মেহেরজান
৩. নিগা মেহেরজান
৪. অঞ্জলি শ্রেষ্ঠ
৫. পূর্ণিমা লুনানি
৬. শ্বেতা থাপা
৭. মিলি মেহেরজান
৮. সারুনা শ্রেষ্ঠ
৯. আলজিনা বড়াল
১০. চারু বড়াল
১১. আশনা সাকিয়া
১২. প্রিন্সি ধামি ও 
১৩. সামিরা বায়ানজানকর।

বিমানে ৬৭ জন যাত্রীদের মধ্যে পুরুষ ৩৭ ও নারী ২৮ জন ছিলেন, শিশু ছিলেন দুইজন। এর মধ্যে ৩২ জন বাংলাদেশি, ৩৩ জন নেপালি, একজন মালদ্বীপের এবং একজন চীনের নাগরিক যাত্রী হিসেবে ছিলেন। এছাড়া ফ্লাইটটিতে দুইজন পাইলট ও দুইজন বিমানকর্মী ছিল। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পুলিশের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ি, ইউএস বাংলার বিএস ২১১ ফ্লাইট বিধ্বস্তে নিহতের সংখ্যা ৫০। চিকিৎসাধীন যাত্রীদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ফ্লাইটের সহকারি পাইলট এবং ইউএস বাংলার প্রথম নারী পাইলট প্রিথুলা রশিদের প্রথমেই মৃত্যু হয়। নিজের মৃত্যুর আগে ১০ জন নেপালী যাত্রীর প্রাণ বাঁচান এই সাহসী বৈমানিক। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ১৩ মার্চ (মঙ্গলবার) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ক্যাপ্টেন আবিদ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত