খালেদার আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার

প্রকাশ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৯:৩৬

অনলাইন ডেস্ক

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করেছেন। আপিল গ্রহণের জন্য আগামি ২২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) শুনানির দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার আপিল আবেদনটির বিষয়ে অবহিত করেন আইনজীবী অ্যাড. জয়নুল আবেদীন। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। এছাড়াও ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আপিলের ফাইলিং আইনজীবী হলেন দুদক আইনজ্ঞ অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান। এ তথ্য জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি নিশ্চিত করেন খালেদা জিয়ার আপিলের নম্বর হচ্ছে ‘ক্রিমিনাল আপিল নং-১৬৭৬/১৮। ১২২৩ পৃষ্ঠার আপিল আবেদনে ২৫টি যুক্তি দেখানো হয়েছে। এসব যুক্তিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে খালাসের আবেদন করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আপিল মামলার শুনানি হবে।

এর আগে সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সিনিয়র আইনজীবীরা। এতে অংশ নেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, আবদুর রেজাক খান, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, সানাউল্লাহ মিয়া, আমিনুল ইসলাম ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের রায়ের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার পর থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।