'বৈষম্য' এর পরিচালক প্রযোজককে জিজ্ঞাসাবাদ, ক্ষমা প্রার্থনা (ভিডিও)

প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০১৮, ০০:০১

জাগরণীয়া ডেস্ক

গত ক'দিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্যতম আলোচনার বিষয় ছিল নারীদের হেয় প্রতিপন্ন করা একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র যার নাম ছিল 'বৈষম্য'। নারীদের প্রতি অবমাননাকর এই ভিডিওটির পেছনে উঠে এসেছিল যে দু'টি নাম তা ছিল সাব্বির ও হায়াত। অবশেষে বেশ কয়েকজন নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে এই দুজনকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিট (সিটিটিসি)।

ইউটিউবে 'বৈষম্য' নামক ঐ ভিডিওটি আপলোড করার পর থেকেই তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে উঠে। গণপরিবহনে নারীদের জন্য সংরক্ষিত সিট থাকাকে নেতিবাচকভাবে দেখা, প্রকাশ্যে ধূমপান করার ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভিডিও করার মাধ্যমে নারীদের হয়রানি করা, ইত্যাদি নানা কারণে প্রথম থেকেই সভ্য সমাজে এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। এমনকি প্রশ্ন উঠে আইসিটি আইন ৫৭ ধারায় এই ভিডিওকে কেন বাজেয়াপ্ত করা হবে না সে নিয়েও। কারো বিনা অনুমতিতে তার ছবি তোলা কিংবা ভিডিও করা যে অপরাধের পর্যায়ে পড়ে, এবং এই অপরাধে উস্কানিদাতা হিসেবে এই দুই তরুণকে কেন শাস্তি দেয়া হবে না সেটা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অনেকে।

এরই প্রেক্ষিতে কয়েকজন নারীর অভিযোগকে কেন্দ্র করে ১৭ জানুয়ারি (বুধবার) সকালে ঐ দুই তরুণকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে আনা হয়।

সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এক কর্মকর্তা জানান, কয়েক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে আনা হয়। তারা কী উদ্দেশ্যে এবং কেন এই ভিডিওটি নির্মাণ ও ইন্টারনেটে আপলোড করেছে তা জানার চেষ্টা করা হয়।

এদিকে এই জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভে এসে ঐ ভিডিওর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন হায়াত মাহমুদ ও সাব্বির নামে ঐ দুই তরুণ। তারা বলেন যে, তারা তাদের ভুল অনুধাবন করতে পেরেছেন এবং এজন্য তারা পুরো জাতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। একইসাথে তাদের ভিডিওকে অনুসরণ করে কেউ যেন অন্যের অনুমতি ছাড়া কোন ছবি বা ভিডিও পোস্ট না করে এই ব্যাপারেও সতর্ক করে দেন তারা।

তাদের এই ক্ষমাপ্রার্থনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। তবে অনেকে বলছেন আইনের ভয়ে নয়, বরং নিজস্ব বিবেক বুদ্ধি থেকেই মানুষ লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে ভাবতে শিখুক এটাই প্রত্যাশা। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত