‘সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদকে বাংলার মাটি থেকে নির্মূল করতে চাই’

প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০১৮, ১৩:৫৯

জাগরণীয়া ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ দেশের মাটিতে কোনো জঙ্গি-সন্ত্রাস বা যুদ্ধাপরাধীদের স্থান হবে না। আমরা চাই, বাংলাদেশের মাটি থেকে জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ মুক্ত হবে, বাংলাদেশ শান্তির দেশ হবে। তাই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল করে আমরা দেশের প্রতিটি মানুষের শান্তি-নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। ৮ জানুয়ারি (সোমবার) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পুলিশ সপ্তাহ-২০১৮ এ বক্তব্য কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস ও ধ্বংসযজ্ঞ সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবেলা করেছে পুলিশ বাহিনী। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় পুলিশের আন্তরিকতা, কর্মদক্ষতা, পেশাদারিত্ব দেশবাসীর কাছে প্রশংসিত হচ্ছে। দেশবাসীর আস্থা অর্জনেও পুলিশ যথেষ্ট সক্রিয় রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী, বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সহচররা হরতাল ও অবরোধের নামে যে নৈরাজ্য, ধ্বংসাত্মক, নাশকতামূলক কার্যক্রমে লিপ্ত হয়েছিলো, আমরা দেখেছি সেই ধ্বংসযগ্যের রূপ। তাদের জ্বালাও পোড়াও, নিরিহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করা এবং আইনশৃংখলা রক্ষাকারী সংস্থার উপর হামলা আমরা দেখেছি। আমি মনে করি, আমাদের পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে সে অবস্থার মোকাবেলা করেছিলেন।

তিনি বলেন, বিশেষ করে এই হামলা মোকাবেলা করতে গিয়ে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে আমাদের পুলিশ বাহিনীর প্রায় ২৭ জন সদস্য প্রাণ দিয়েছেন। আমি তাদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে পুলিশ বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। প্রতিরোধের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে হবে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে পুলিশ ভূমিকা রেখেছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পুলিশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে সরকার গুরুত্ব দেয়। পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে বর্তমান সরকার কাজ করছে। পুলিশকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সপ্তাহ-২০১৮ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত ১১টি কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহীদলের নয়নাভিরাম প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। এবারের পুলিশ সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য ‘জঙ্গি-মাদকের প্রতিকার, বাংলাদেশ পুলিশের অঙ্গীকার’।

২০১৭ সালে পুলিশ বাহিনীর সদস্যগণের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৮২ জনকে পদক দেন প্রধানমন্ত্রী।

এরমধ্যে ৩০ জন পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম), ৭১ জনকে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৮ জন পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা এবং ৫৩ জনকে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা প্রদান করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত