শ্রীপুরে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা সেই কিশোরীর সন্তান প্রসব

প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ২০:০৫

জাগরণীয়া ডেস্ক

গাজীপুরের শ্রীপুরে সাইটালিয়া গ্রামে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা এক শিশু (১২) গত ৬ ডিসেম্বর (বুধবার) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেছেন। বর্তমানে মা ও নবজাতক উভয়ই সুস্থ রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

নির্যাতনের শিকার শিশুটির বাবা জানান, বুধবার দুপুরে তার মেয়ের প্রসব ব্যথা শুরু হয়। রাতে ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আকতারকে জানানো হলে তিনি দ্রুত মেয়েটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসতে বলেন। রাত পৌনে ১১টার দিকে মেয়েটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়।

শ্রীপুর উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা মঈনুল হক খান জানান, হাসপাতালে আনার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে জরুরি বিভাগের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। রাতে হাসপাতালে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার হাবীবা সুলতানা ও সিনিয়র স্টাফ নার্স অঞ্জনার তত্ত্বাবধানে মেয়েটি স্বাভাবিকভাবে (নরমাল ডেলিভারি) একটি কন্যা সন্তান প্রসব করে। নবজাতকের ওজন ২.৫ কেজি। নবজাতকসহ মা এখন সুস্থ আছেন। আশা করা যাচ্ছে শুক্রবার অথবা শনিবার নবজাতকসহ মেয়েটি বাড়ি ফিরতে পারবেন।

মেয়েটির বাবা আরও জানান, হাসপাতালে আনার পর থেকে ইউএনও সার্বক্ষণিক নবজাতক ও মেয়ের খোঁজ খবর রাখছেন। এর মধ্যে নবজাতককে নতুন জামা কাপড়ও কিনে দিয়েছেন ইউএনও।

এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ কিশোরীর আপন মামা হুমায়ুন কবিরকে (৩০) গ্রেপ্তার করলেও আরেকজনকে এখনও ধরতে পারেনি। গ্রেপ্তার হুমায়ুন শ্রীপুর উপজেলার সাইটালিয়া বিদ্যারভিটা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।

শ্রীপুর থানার এসআই মো. এখলাছ উদ্দিন জানান, ১২ বছর বয়সী এই মাদ্রাসাছাত্রী মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে তার আপন মামা হুমায়ুন ও হুমায়ুনের খালাত ভাই আমানুল্লাহ ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ভয়ে এ ঘটনা সে কাউকে বলেনি। পরে শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখে স্বজনরা ঘটনা উদঘাটন করেন।

মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই এখলাছ উদ্দিন বলেন, হুমায়ুনকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর আমানুল্লাহকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত