কাকরাইলে মা-ছেলেকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে জনি

প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০১৭, ২২:২০

জাগরণীয়া ডেস্ক

রাজধানীর কাকরাইলে মা ও ছেলেকে খুনের প্রধান আসামি আল আমিন জনিকে গোপালগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব)। গ্রেপ্তার আল আমিন জনি খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

৪ নভেম্বর (শনিবার) বিকালে র‌্যাবের এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হত্যাকাণ্ডের পর ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন জনি, পরদিন পালিয়ে যান নিজের জেলা গোপালগঞ্জে।

জনি র‌্যাবকে জানায়, বোন পারভিন আক্তার মুক্তাকে তার স্বামী আব্দুল করিম তালাক দিতে চেয়েছিলেন। তাতে মুক্তা আত্মহত্যার চেষ্টা চালানোর পর তিনি এই হত্যার পরিকল্পনা করেন। মুক্তা ব্যবসায়ী করিমের তৃতীয় স্ত্রী। খুন হওয়া শামসুন্নাহার তার প্রথম স্ত্রী ছিলেন।

এ ঘটনায় ১ নভেম্বর (বুধবার) হত্যাকাণ্ডের দিন করিমকে এবং পরদিন তার তৃতীয় স্ত্রী মুক্তাকে আটক করে পুলিশ।

শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী মামলায় অভিযোগ করেছিলেন জনি কয়েকজনকে নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটান। তবে জনি র‌্যাবকে যে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, তাতে আর কারও কথা বলেননি তিনি।

র‌্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ঢাকার নিউ মার্কেট থেকে ‘১০০ টাকায় একটি চাকু কেনার পর’ শামসুন্নাহারের কাকরাইলের বাসায় গিয়েছিলেন জনি। সে কলিংবেল চাপলে কাজের বুয়া দরজা খুলে দিয়ে রান্নাঘরে চলে যায়। তখন সে রান্নাঘরের দরজা লাগিয়ে দিয়ে প্রথমে চাকু দিয়ে শাওনকে আঘাত করে এবং তাকে চুপচাপ বসে থাকতে নির্দেশ দেয়। এরপর সে শামসুন্নাহারের ঘরে গিয়ে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। শাওন উঠে গিয়ে তার মাকে রক্ষার চেষ্টা চলালে তাকে আবার আঘাত করে আল আমিন। এ সময় তাদের ছুরিকাঘাত করার সময় জনিরও দু’টি আঙ্গুল কেটে যায়। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় জনিই দারোয়ানকে বলেন, উপরে মারামারি হচ্ছে।

ওই সময় ঘরে থাকা রাশিদার দাবি, তিনি রান্নাঘরে কাজ করার সময় হঠাৎ বাইরে থেকে কেউ দরজা আটকে দিয়েছিল। পরে দারোয়ান নোমান ছিটকিনি খুলে দিলে তিনি বেরিয়ে আসেন। ততক্ষণে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে খুনিরা পালিয়ে যায়।

শামসুন্নাহারকে ২৮ বছর আগে বিয়ে করেন করিম। পরে তিনি ফরিদা নামে এক নারীকেও বিয়ে করেন। ফরিদার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর তিনি চার বছর আগে মুক্তাকে বিয়ে করেন। করিম গ্রোসারি ব্যবসা ছাড়াও এফডিসিকেন্দ্রিক চলচ্চিত্রের প্রযোজনা ও পরিচালনায় যুক্ত বলে পুলিশ জানিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত