হাসিনাকে জাতিসংঘ মহাসচিবের ফোন

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০১৭, ১২:৪২

অনলাইন ডেস্ক

শেখ হাসিনা ও আন্তোনিও গুতেরেসরোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে আরও চাপ দিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২১ অক্টোবর (শনিবার) রাতে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেজের সঙ্গে ফোনালাপে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব জানান, ‘শনিবার রাতে সাড়ে ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন দেন জাতিসংঘের মহাসচিব। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে দু’জন প্রায় ২০ মিনিট কথা বলেন। ফোনালাপে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তার উত্থাপিত পাঁচ দফা বাস্তবায়নে মহাসচিবের সমর্থন চেয়েছেন। এই প্রসঙ্গে মহাসচিবকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সংকটের স্থিতিশীল সমাধানে পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছি।’

প্রেস সচিব জানান, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থনের জন্য মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, রাখাইন থেকে বলপূর্বক উচ্ছেদ হওয়া রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে শান্তিপূর্ণভাবে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সমাধানের জন্য বাংলাদেশ এরই মধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করছে।’

প্রসঙ্গত,  ২১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী পাঁচ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছিলেন। রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ৫ দফা প্রস্তাব হলো:

এক: কোনও শর্ত আরোপ ছাড়াই অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের ওপর সব ধরনের সহিংসতা ও জাতিগত নিধন স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে।

দুই: জাতিসংঘ মহাসচিবের মাধ্যমে একটি অনুসন্ধানী কমিটি গঠন করতে হবে।

তিন: জাতি ও ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজিত রাখাইনের সব নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিককে সুরক্ষা দিতে হবে। এ জন্য মিয়ানমারের ভেতরে নিরাপদ এলাকা তৈরি করা যেতে পারে।

চার: বল প্রয়োগের মাধ্যমে বাস্তুচ্যুত সব রোহিঙ্গা যেন নিরাপদ ও মর্যাদার সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে তাদের বাড়িতে ফিরতে পারে, সে ব্যবস্থা করা।

পাঁচ: রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে কফি আনান কমিশনের পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

উল্লেখ্য, ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নির্যাতন শুরু হলে রোহিঙ্গারা দলে দলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা শুরু করে। এখন পর্যন্ত প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে। এর আগে থেকে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছিল। 

সূত্র: বাসস