এতিম রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য শিশুপল্লী হচ্ছে

প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০১৭, ১২:৩২

জাগরণীয়া ডেস্ক

এতিম রোহিঙ্গা শিশুদের সুরক্ষার জন্য শিশুপল্লী নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রাথমিকভাবে উখিয়ার নিবন্ধিত কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধুছড়া এলাকায় ২০০ একর জমিও নির্ধারণ করা হয়। 

ইতোমধ্যে এতিম রোহিঙ্গা শিশুদের শনাক্ত করার কার্যক্রম শেষ হলেই আগামী মাসে ‘শিশুপল্লী’র কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৩০ দিনে ১৮ হাজার ৪৪৯ জন রোহিঙ্গা এতিম শিশুকে শনাক্ত করা হয়। ‘মিয়ানমার ন্যাশনাল অরফান চাইল্ড’ কার্যক্রমের মাধ্যমে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (কার্যক্রম) ও ‘মিয়ানমার ন্যাশনাল অরফান চাইল্ড’ প্রকল্পের সমন্বয়কারী সৈয়দা ফেরদৌস আক্তার বলেন, আমরা ভাবছি এ মাসের মধ্যে এতিম রোহিঙ্গাদের শনাক্ত করার কাজ শেষ করতে পারবে। আগামী মাসে শিশুপল্লী নির্মাণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তবে রোহিঙ্গারা এখনও আসছে। এই স্রোত আরও বাড়লে প্রকল্পের কাজ কিছুটা দীর্ঘায়িত হতে পারে বলেও জানালেন ফেরদৌস আক্তার।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের ৮০ জন কর্মী ক্যাম্পগুলোতে গিয়ে খুঁজে খুঁজে অনাথ শিশু শনাক্তকরণের দায়িত্ব পালন করছেন। তারা বিভিন্ন ক্যাম্পে গিয়ে শিশুর অভিভাবক ও মাঝিদের মাধ্যমে সঠিক তথ্য-উপাত্ত নিয়ে শনাক্তকরণের কাজটি করছেন। যারা বাবা-মা দুজনকেই হারিয়েছে, যারা শুধু বাবা হারিয়েছে, যারা প্রতিবন্ধী, আর যারা মা-বাবার খোঁজ পাচ্ছে না- এমন চারটি শ্রেণিতে এদের ভাগ করা হচ্ছে। শিশু আইন অনুযায়ী ১৮ বছর পর্যন্ত বয়সীদের শিশু হিসেবে গণনা করে তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সহিংসতায় অসংখ্য রোহিঙ্গা দম্পতি খুন হয়েছে। তাদের বেঁচে যাওয়া সন্তানরা আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এসব পিতৃ-মাতৃহীন শিশুর জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি বিশেষ সুরক্ষা অঞ্চল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত