রায় স্থগিতে নাইকোর আবেদন মুলতবি

প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০১৭, ১৩:৩০

জাগরণীয়া ডেস্ক

গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের সঙ্গে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর করা যৌথ উদ্যোগ (জয়েন্ট ভেনচার) চুক্তি বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্ট রায় বিষয়ে আনা আপিল শুনানি ৩ সপ্তাহের জন্য মূলতবি করা হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয় (ষ্ট্যান্ড ওভার ফর থ্রি উইকস)।

গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের সঙ্গে কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক কোম্পানি নাইকো ও পেট্রোবাংলার গ্যাস সরবরাহ চুক্তি অবৈধ ঘোষণা করে গত ২৪ আগষ্ট রায় দেয় হাইকোর্ট। এ রায়ের বিষয়ে আপিলে যায় নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটিড। আজ বিষয়টি শুনানির জন্য ধার্য ছিল। আদালতে রিট আবেদেনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

হাইকোর্ট রায়ে, পেট্রোবাংলার নাইকোর গ্যাস সরবরাহ ও কেনাবেচার চুক্তি বাতিল ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে সুনামগঞ্জের টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে ২০০৫ সালের বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাংলাদেশে নাইকোর সব সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে জব্দ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নিম্ন আদালতে নাইকোর বিরুদ্ধে বিচারাধীন দুর্নীতি ও ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত দুটি মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নাইকোকে কোনো অর্থ পরিশোধ করা যাবে না বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়।

জনস্বার্থে আনা এক রিট আবেদনে দেয়া রুলের শুনানি করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দিয়েছিলো।

বাংলাদেশে গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের জন্য ২০০৩ ও ২০০৬ সালে নাইকোর সঙ্গে দুটি চুক্তি করে বাপেক্স ও পেট্রোবাংলা। চুক্তির একটি ছিল বাপেক্সের সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বে (জয়েন্ট ভেনচার) কাজের চুক্তি। গ্যাস সরবরাহ ও কেনাবেচার জন্য পেট্রোবাংলার সঙ্গে অন্য চুক্তিটি হয়েছিল।

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ৯ মে হাইকোর্ট বাপেক্সের সঙ্গে নাইকোর করা যৌথ উদ্যোগ চুক্তি কেন বাতিল করা হবে না-তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করে। একই সঙ্গে আদালত ওই চুক্তির কার্যকারিতাও স্থগিত করেছিল। রিটের রেসপনডেন্ট (প্রতিপক্ষ) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এবং নাইকো কানাডা ও নাইকো বাংলাদেশকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।

নাইকোর সঙ্গে করা চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে রিট আবেদনটি দায়ের করেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত