১১ মামলায় খালেদা জিয়ার পরবর্তী হাজিরা ২৭ নভেম্বর

প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:২৭

জাগরণীয়া ডেস্ক

রাষ্ট্রদ্রোহের একটি ও নাশকতার ১০টিসহ মোট ১১ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হাজিরার দিন ২৭ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।

১৫ অক্টোবর (রবিবার)  ১১ মামলায় খালেদা জিয়ার হাজিরা দেয়ার দিন ধার্য ছিল। অধিকাংশ মামলা উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত রয়েছে বলে সময়ের আবেদন দাখিল করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবা ও জিয়া উদ্দিন জিয়া।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে হাজিরার জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

বিএনপির চেয়ারপারসনের আইনজীবী জয়নুল আবেদিন মেজবাহ জানান, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ১১ মামলার কার্যক্রম হাইকোর্ট স্থগিত করে দিয়েছেন। সে কারণে সময়ের আবেদন করা হয়।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে মিরপুরের দারুস সালাম থানায় নাশকতার আটটি, রাষ্ট্রদ্রোহের একটি ও যাত্রাবাড়ী থানার বিস্ফোরক ও হত্যা আইনের দুটি।

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত বছরের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদারের আদালতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। ওই মামলায় গত বছরের ৫ এপ্রিল খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।

মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে বলা হয়, এত লক্ষ শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’

ওই দিন খালেদা জিয়া আরো বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।’

যাত্রাবাড়ী থানার মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরী পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। পরে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামের এক যাত্রী।

এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কে এম নুরুজ্জামান।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ, বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।

অন্যদিকে, ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।

গত বছরে এসব মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্রের পর খালেদা জিয়া এসব মামলায় হাজির হয়ে জামিন নেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত