টাঙ্গাইলে চারদিনে ৩ বাল্যবিয়ে বন্ধ

প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:১৯

জাগরণীয়া ডেস্ক

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গত চারদিনে উপজেলা সদরের শাফিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন ছাত্রী বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। তারা একই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

উপজেলা প্রশাসনের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে এই বাল্যবিয়েগুলো বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদত হোসেন কবিরের নির্দেশে ১৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার) উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তী মাদারকোল গ্রামে এক ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক বিয়ে বন্ধ করে দেন। পরে আঠারো বছর পূর্ণ হওয়ার আগে বিয়ে না দেওয়া মর্মে সংশ্লিষ্ট অভিভাবকের কাছে থেকে অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়।

দেলদুয়ার সদর ইউনিয়নের টুকনিখোলা গ্রামে এক ছাত্রীর বিয়ের আগাম তথ্য পেয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন উপজেলা  নির্বাহী অফিসার শাহাদত হোসেন কবির। ১৭ সেপ্টেম্বর (রবিবার) ওই ছাত্রীর বাড়িতে ইউপি মেম্বার ও গ্রামপুলিশ পাঠিয়ে  বিয়ের আয়োজন বন্ধ করা হয়। পরে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহীন রুবা ও সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক শহীদুর রহমানের মাধ্যমে অভিভাবককে সতর্ক করা হয় বলে জানা যায়।

এছাড়া ১৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) দেলদুয়ার সদর ইউনিয়নের মীর কুমুল্লী গ্রামের একই বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির আরেক ছাত্রীরও উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহে মোট চার দিনে তিন ছাত্রী বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেলো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদত হোসেন কবির বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে বেশকিছু সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এখন তারই প্রতিফলন ঘটছে। ছাত্রীরা স্ব-উদ্যোগে নিজেদের বাল্যবিয়ের তথ্য আমাদেরকে জানাচ্ছে। এটি খুবই ইতিবাচক। পাশাপাশি অভিভাবকরা সচেতন ও উদ্যোগী হলে দেলদুয়ারকে অচিরেই শতভাগ বাল্যবিয়ে মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা সম্ভব হবে।

ওই ছাত্রীদের স্কুলে পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত