কামারখন্দে সাত লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সাঁকো ভাঙচুর

প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০১৭, ০২:২৮

জাগরণীয়া ডেস্ক

সিরাজগঞ্জে কামারখন্দ উপজেলায় দশসিকা গ্রামে জনসাধারণের সুবিধার্থে প্রায় সাত লক্ষ টাকা ব্যায়ে ব্যক্তি উদ্যোগে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন ইঞ্জিনিয়ার সামছুল আলম শফি। সেই বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ কয়েকটি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পারাপার হতেন। কিন্তু একটি পক্ষ রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে বাঁসের সাঁকোটি ভেঙ্গে দিয়েছে।

১৩ আগস্ট (রবিবার) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চড় দশসিকা গ্রামের নদীর পাড়ের মানুষ নদী পারাপার হওয়ার জন্য ভাঙ্গা সাঁকোর উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সাঁকো তৈরির আগে পারাপারের এক মাত্র নির্ভরশীল ছিল নৌকা। সাঁকো তৈরি হওয়াতে চর দশসিকা, তেতুলিয়া, চিলারপাড়া, ধইঞ্চি, বড়হর, শুটকিপাড়া, হদাই, দমদমা সহ কয়েকটি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ আনন্দে আত্মহারা হয়েছিলেন।

বর্তমানে সাঁকোটির এক পাশ্বে ভেঙ্গে দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য দশসিকা গ্রামের মৃত খোদা বক্সে ছেলে কাশেম তালুকদার (৬৫), আব্দুস ছালাম (৬০) ও চাঁদ হোসেনের ছেলে গফুর তালুকদার (৬০) এর নেতৃত্বে সাঁকোটি ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সাঁকো তৈরির উদ্যোক্তা চর দশসিকা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মাষ্টারে ছেলে ইঞ্জিনিয়ার সামছুল আলম শফি জানান, চড় দশসিকা গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্রসহ লক্ষ লক্ষ মানুষ নৌকায় এই নদী পারাপার হয়। সন্ধ্যা হলেই নৌকা পাওয়া যায় না এমনকি যদি কোন অসুস্থ রোগিকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হয় সেটাও সম্ভব হয় না। দেখা যায় সঠিক সময়ে চিকিৎসার অভাবে রোগির মৃত্যু হয়। তাই সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে নিজ উদ্যোগে প্রায় সাত লক্ষ টাকা ব্যায়ে সাঁকোটি নির্মাণ করেছি কিন্তু দশসিকা গ্রামের লোকজন ভেঙ্গে দিয়েছে।

চর দশসিকা গ্রামের আফজাল হোসেন জানান, কয়েক গ্রামের মানুষের যাতায়াতের কষ্টের সমাধান করার জন্য ইঞ্জিনিয়ার শফি বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করেছে। এতে কয়েকটি গ্রামের মানুষ মহা খুশি। কিন্তু তিন চার দিন হলো সাঁকোর এক পাশে ভাঙ্গা দেখছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, কামারখন্দ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ভাই দশসিকা গ্রামের আব্দুল মান্নান টুটুলের ছেলে আইয়ূব চৌধুরীর নির্দেশে সাঁকোটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। তিনি (আইয়ূব চৌধুরী) বলেছেন ২৬ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে চর দশসিকা থেকে দশসিকা পর্যন্ত ব্রিজ হবে। বাঁশের সাঁকো থাকলে সেটা সম্ভব হবে না।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত