বগুড়ায় সাবেক স্ত্রী হত্যায় স্বামী, সতীন ও শাশুড়ি আটক

প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০১৭, ২৩:৪৭

জাগরণীয়া ডেস্ক

বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় তালাক দেওয়া স্ত্রী নাহিদা আকতার বীথি (৩০) হত্যার ঘটনায় সাবেক স্বামীসহ সতীন ও শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ। বীথি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার আমদিয়ার পাড়া গ্রামের আইয়ুব হোসেনের মেয়ে।

৫ আগস্ট (শনিবার) সকালে পুলিশ গাবতলী ফিসারি পুকুরের পশ্চিম পাশের একটি ডোবা থেকে নাহিদা আকতার বীথির মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

আটককৃতরা হলেন, সাবেক স্বামী গাবতলী পৌর এলাকার গোড়দহ উত্তর পাড়া গ্রামের আবু মুসার ছেলে জিল্লুর রহমান (৩৫), তার মা গোলেবানু (৬০) ও দ্বিতীয় স্ত্রী মুন্নি আকতার। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে জিল্লুর রহমান তার সাবেক স্ত্রী নাহিদা আকতার বীথিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

গাবতলী মডেল থানার ওসি খায়রুল বাসার জানান, ১২ বছর আগে জিল্লুর রহমানের সঙ্গে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার আমদিয়ার পাড়া গ্রামের আইয়ুব হোসেনের মেয়ে নাহিদা আকতার বীথির বিয়ে হয়। সংসার করার পর তাদের কোনো সন্তান হয়নি। এর জের ধরে ২০১৬ সালের ৬ অক্টোবর তাদের বিচ্ছেদ হয়।

৪ আগস্ট (শুক্রবার) সন্ধ্যায় নাহিদা আকতার সতিনের সাথে ঘর সংসার করার জন্য সাবেক স্বামী জিল্লুর রহমানের বাড়ি আসেন। এ সময় জিল্লুর তাকে নিয়ে আর ঘর সংসার করবে না বলে জানালে রাতে বীথি ঘুমের ওষুধ পান করে। এক পর্যায়ে ওই রাতেই জিল্লুর ফিসারি পুকুরের পশ্চিম পাশে একটি ডোবার কিনারে নিয়ে এসে মুখে, গালে, মাথায়, বুকেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি মেরে সাঁতার না জানা বীথিকে পানিতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে যায়। শনিবার স্থানীয়রা ডোবায় বীথির মৃতদেহ দেখতে পেয়ে থানায় সংবাদ দেয়। সেখান থেকে পুলিশ নাহিদা আকতার বীথির লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।

ওসি খায়রুল বাসার আরও জানান, জিল্লুর রহমান পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে পুলিশ তাকে আটক করে। এছাড়াও জিল্লুর রহমানের মা গোলেবানু ও দ্বিতীয় স্ত্রী মুন্নি আকতারকে আটক করেছে পুলিশ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত