জেনে নিন কোন রং এ কী প্রভাব

প্রকাশ : ১৮ জুন ২০১৭, ১৬:০৩

জাগরণীয়া ডেস্ক

ভারতীয় জ্যোতিষ ও বাস্তুশাস্ত্র-সহ অন্যান্য গুপ্তবিদ্যাগুলি রং কে বিরাট প্রাধান্য দেয়। মা’ দের শরীর ও মনের উপরে রং যে প্রবল প্রভাব বিস্তার করতে সমর্থ, একথা সাইকোলজিও বলে। বৈদিক বাস্তুশাস্ত্র মতে, শুভ এবং আকর্ষক রংয়ে পরিবেশে পরিবর্তন আসে এবং শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনও সাধিত হয়। তাই বাড়িতে রং করার ক্ষেত্রে মেনে চলতে পারেন বাস্তু-নির্দেশ।

দেখে নেওয়া যেতে পারে, কোন রং কী প্রভাব বিস্তার করে জীবনের উপরে।

লাল
সনাতন ধর্মের যাবতীয় রীতিনীতি ও ধর্মানুষ্ঠানে লাল প্রধানতম রং। এই কারণে সিঁদুর বৈদিক ও তান্ত্রিক— উভয় ধারাতেই ব্যবহৃত হয়। শৌর্য, তেজস্বিতা, বিজয়, পরাক্রম, গৌরব ও যশের কারক হল লাল। লাল রংকে নির্দেশ করে মঙ্গল।

সবুজ
মানসিক শান্তির কারক। যে কোনও উদ্বেগকে দূর করে। কর্মক্ষেত্রে প্রবল উৎসাহ এনে দেয়। রোগমুক্তির কারকও সবুজ। এই রং আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপ্ত করে এবং আলস্য কাটায়। জ্যোতিষ ও বাস্তু মতে, এর কারক গ্রহ হল বুধ।

হলুদ
জ্ঞান, বিবেক এবং নিজস্ব উন্নতির কারক হল হলুদ। সামাজিক উন্নতি, সন্তান, বিবাহ, বাড়িঘর ইত্যাদির কারক রংও হলুদ। যে কোনও অশুভত্বকে নাশ করে বলে সর্ববিঘ্নহন্তা গণপতির পরিচ্ছদ হলুদ বর্ণের। একই কারণে শ্রীবিষ্ণুও হলুদ পরিচ্ছদ পরেন। এর কারক হলেন বৃহস্পতি।

নীল
মনোবিজ্ঞান জানায়, শক্তি ও পৌরুষের কারক হল নীল। কিন্তু জ্যোতিষ ও বাস্তু নীলকে ত্যাগ ও ঐশ্বরিক অনুভূতির কারক হিসেবে জানে। কিন্তু গৃহীর পক্ষে নীল রং শুভ নয়। সন্ন্যাসীর পক্ষে শুভ। বাস্তু নীল রংকে এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেয়। এই রংয়ের অধিপতি হলেন শনি।

বেগুনি
অনুসন্ধিৎসাপ্রবণ মন তৈরি করে। অনেক বাস্তুবিদ একে রবির প্রতীক বলেন। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে এটি শনি ও রবির মিশ্র প্রতীক। কোনও মতেই বাস্তুক্ষেত্রে ব্যবহার করা চলে না।

আকাশি
অনেকে মনে করেন, এই রংয়ের অধিপতি বৃহস্পতি। কিন্তু এর প্রধান অধিপতি হলেন রবি। মাস্টার বেডরুমে এই রং শুভ। কর্মক্ষেত্রেও এই রং উন্নতিকে নির্দেশ করে, অপিসের দেওয়ালে এই রং লাগানো যেতেই পারে।

এসবের পরে একটা কথা থেকেই যায়।  ভল করে বাস্তু পর্যবেক্ষণ না করে রং নির্বাচন করা ঠিক নয়। সঠিকভাবে নির্বাচন না করলে বিবিধ বিপদের সম্ভাবনা তেকেই যায়। তাই বাড়ি বা ঘর রং করার আগে বাস্তুবিদের পরামর্শ গ্রহণ একান্ত জরুরি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত