রসুন নিয়ে হাজার বছরের আশ্চর্য কাহিনী!

প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০১৭, ০০:২১

জাগরণীয়া ডেস্ক

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে রসুন। সেই আদিকাল থেকে খাদ্যের পাশাপাশি চিকিৎসা বিজ্ঞানেও রয়েছে এর কার্যকরী ভূমিকা। বলা হয়ে থাকে প্রতিদিন মাত্র এক-দুইটা রসুন খোয়া খেলেই হার্ট সুস্থ থাকে। কমে যায় হার্ট অ্যাটাকের ঝুকিও।

অথচ অনেকেই আছেন রসুনের গন্ধ সহ্য করতে পারেন না। নাক সিঁটকান! কিন্তু, রসুন যেমন আমাদের রসনাতৃপ্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়, তেমনি রসুন দিয়ে নাকি ভ্যাম্পায়ার তাড়ানো হয়। শতকের পর শতক ধরে রসুন নিয়ে এমনই সব কাহিনি ছড়িয়ে রয়েছে। এর মধ্যে এমনকিছু ‘মিথ’ আছে, যা ৭ হাজার বছরেরও বেশি পুরনো।

১) ইউরোপে ‘হোয়াইট ম্যাজিক’-এর নাকি মূল মাধ্যমই হচ্ছে রসুন। এমনকি এই রসুন দিয়ে ইউরোপিয়ানরা ভ্যাম্পায়ারদের মোকাবিলা করেন। রসুনের মালা বা রসুন ঘরের সামনে ঝুলিয়ে রাখলে ভ্যাম্পায়াররা আসতে পারে না বলে তাদের বিশ্বাস।  

২) ইসলামে কাঁচা রসুন খেয়ে মসজিদে যাওয়া মাকরূহ বা অপছন্দনীয়। কারণ, রসুনের গন্ধে আল্লার নাম করতে গিয়ে মন অন্যদিকে চলে যেতে পারে। হিন্দু ধর্মেও ওই একই কারণে ভগবানের পূজা-অর্চনার সময়ে বা মন্দিরে যেতে গেলে রসুনকে এড়িয়ে চলেন। কারণ, রসুনের গন্ধে মনের পবিত্রতা নষ্ট হয় বলে মনে করেন তারা।  

৩) কর্পূরের সঙ্গে পোড়া রসুন মেশালে মশা, মাছি, পোকামাকড়ের হাত রেহাই পাওয়া যায়। রসুনকে পিষে জলের সঙ্গে মিশিয়ে ঘর মুছলেও পোকা-মাকড়ের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

৪) রসুনে ১৭ মাত্রার অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। এই অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরের ভিতরের অঙ্গ-প্রতঙ্গগুলোকে কাজ করতে সাহায্য করে। কারণ, মানুষের শরীরে ৭৫ শতাংশে থাকে এই অ্যামিনো অ্যাসিড।  

৫) চাইনিজ খাবারে রসুন বেশি ব্যবহার হওয়ার কারণ জানলে অবাক হবেন, কারণ সেখানে বিশ্বের ৬৬ শতাংশ রঁসুন উৎপাদন হয়।  

৬) প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জখম সৈনিকদের গ্যাংগ্রিনের চিকিৎসাতে সালফারের ভাণ্ডার কম পড়লে রসুন ব্যবহার করা হত।

৭) রসুন হার্টের পক্ষে খুবই ভাল। কারণ, কাঁচা রসুন খেলে কোলেস্টোরল কমে। সর্দি-কাশিতেও রসুনের পথ্য মারাত্মক রকমের কার্যকারি।  

৮) হাত থেকে রসুনের গন্ধ দূর করতে, ঠান্ডা জলের মধ্যে স্টিলের বাসনে হাত ঘসুন। গন্ধ দূর হবে।  

৯) ১৯ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে ‘গার্লিক ডে’ বা রসুন দিবস পালিত হয়।  

১০) বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় খাবারেও রসুন ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘লাসুন কি ক্ষীর’।

সূত্র: ইন্টারনেট ও এবেলা

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত